আলিপুরদুয়ার,12 এপ্রিল: ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে থাকার জন্য নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করতেও প্রস্তুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাতে যদি তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয় তাহলেও কুছ পরয়ো নেহি তৃণমূল সুপ্রিমোর ৷ আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী প্রকাশ চিক বড়াইকের সমর্থনে কালচিনির নিমতির সভাস্থলে এমনই মন্তব্য মমতার ৷ পাশাপাশি মমতা জানান, ভিক্ষা চাইলে জনতার কাছে চাইব, দিল্লির কাছে নয়।
তিনি বলেন, "কোনওদিন দরকার হলে আমাকে ডাকতে হবে না। আমি চলে আসব। ঝড়ে আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে 1 লক্ষ 20 হাজার টাকা দেওয়া হবে । তারমধ্যে 20 হাজার টাকা দিয়ে দিয়েছি ৷ 40 হাজার টাকা কিছুদিনের মধ্যেই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ৷ আর বাকি 60 হাজার টাকা পরে পাবেন ৷ কমিশনকে অনুমতি দেওয়ার জন্য বললাম। ওরা জানায়, সরকারি নীতি অনুযায়ী করতে হবে। আমি সরকারের সিদ্ধান্ত জানতে পেরেছি ৷ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। আমি কোনও অন্যায় করিনি।"
এরপরেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তোলেন নেত্রী ৷ জানান, 100 দিনের টাকা দিল না, রাস্তা বানানোর টাকা দিল না। বাংলা 10 দিনের কাজে এক নম্বরে ছিল। সড়ক যোজনায় বাংলা এক নম্বরে ছিল। গরীব মজদুর যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের সবাই কাজ করলেও টাকা দেয়নি। আমরা 59 লক্ষ পরিবারকে টাকা দিয়েছি। ভিক্ষা চাইলে জনতার কাছে চাইব, দিল্লির কাছে নয়।
মমতা আরও জাানান , আবাস যোজনার বাংলার বাড়ির জন্য মে মাসের মধ্যেই দুই কিস্তিতে 11 লক্ষ টাকা দিয়ে বাড়ি বানাব ৷ আলিপুরদুয়ারে জমির সমস্যা ছিল তবু করে দিয়েছি । চা শ্রমিকদের পাট্টা দিচ্ছি। বন্ধ চা শ্রমিকদেরও দিচ্ছি। শ্রনিক লাইনেই পাট্টা ও ঘর বানানোর পাট্টা মিলবে। দেড় হাজার টাকা রেশন দিই । বিনে পয়সার চিকিৎসা দিই। এরপর মঞ্চে তৃণমূল নেত্রী বিজেপির দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন ৷ তিনি নাম না করে কেন্দ্রকে নিশানা করে বলেন, " 2014 সালে বিজেপি এসে বলেছিল 5টা চা বাগান খুলবে ৷ একটাও চা বাগান খোলেনি ৷ আমাদের সরকার এসে 59টি চা বাগান খুলে দিয়েছে। জলপাইগুড়িতে 25টি চা বাগান, আলিপুরদুয়ারের 15টি, দার্জিলিংয়ে 17টি চা বাগান, কালিম্পং ও কোচবিহারে 1 টি করে চা বাগান খুলে দিয়েছি।"