মালদা, 23 মে: ভোট না পেলে, হবে না উন্নয়ন মূলক কাজ ৷ এমনই ছবি ধরা পড়েছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে ৷ বিজেপি প্রভাবিত এলাকায় শিলান্যাস হয়ে যাওয়া নিকাশির কাজ বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে ৷ আগামী 4 জুন ভোটে তৃণমূল ওই বুথে জিতছে কি না, তা দেখে তবেই এলাকায় শুরু হবে নিকাশি কাজ ৷ এই ঘটনার পরেই বাধ্য হয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন 1 নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুয়া গ্রামের হরিজন পাড়ার বাসিন্দারা ৷
স্থানীয় বাসিন্দা দীপক দাসের অভিযোগ, "রাস্তার জমা জলে মাছ ঘুরে বেড়াচ্ছে ৷ তাই মাছ ধরতে নেমে পড়েছি ৷ নিকাশি ব্যবস্থার দাবিতে আমি পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে গিয়েছিলাম ৷ তাঁকে নিকাশি ব্যবস্থা করার কথা বলতেই তিনি জানিয়েছেন, আমরা তাঁকে ভোট দিইনি ৷ বিজেপিকে ভোট দিয়েছি ৷ 4 জুন যদি দেখেন তৃণমূলের প্রার্থী লিড পেয়েছেন, তবে গ্রামে নিকাশির কাজ হবে ৷ নইলে হবে না ৷ পঞ্চায়েত সদস্য বলছেন, তিনি নাকি 71 হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে এই কাজ আনিয়েছেন ৷ সরকারি কাজ তিনি কীভাবে ঘুষ দিয়ে বরাদ্দ করলেন, সেটাও আমাদের জানা নেই ৷"
শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল ৷ তিনি বলেন, "বিরুয়া গ্রামে প্রায় 40টি হরিজন পরিবার বসবাস করে ৷ নিকাশি নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ৷ ওই গ্রামে নিকাশি সমস্যা দূর করতে প্রায় 10 লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে জেলা প্রশাসন ৷ ভোটের আগে তৃণমূলের নেতারা ফিতে কেটে কাজের শিলান্যাস করেছেন ৷ কাজের বোর্ডও পড়েছে ৷ কিন্তু এখনও কাজ শুরু হয়নি ৷ ভোটের জন্য উন্নয়ন আটকে যাবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না ৷ এই কাজ কীভাবে বন্ধ করে দেখি ৷ প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করব ৷"
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য লাল মহম্মদকে পাওয়া যায়নি ৷ তবে স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য, হরিশ্চন্দ্রপুর 1 (এ) নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভানেত্রী মর্জিনা খাতুন জানান, নির্বাচন ঘোষণার আগে জেলা পরিষদের তরফে এই কাজের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ৷ ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় নির্বাচনি আচরণবিধি জারি থাকার জন্য কাজটা শুরু করা যায়নি ৷ ৪ জুনের পরেই কাজ শুরু হয়ে যাবে ৷ জাতপাত কিংবা রাজনৈতিক রং দেখে উন্নয়নের কাজ করি না ৷