কলকাতা, 11 অগস্ট: হিন্ডেনবার্গের সরাসরি নিশানায় ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি (SEBI)। আর সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে ৷ রবিবার তৃণমূল দাবি করেছে সেবি-র চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ-কে অবিলম্বে বরখাস্ত করা উচিত ৷
মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এবং তাঁর স্বামীর আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত তহবিলগুলিতে অংশীদারিত্ব রয়েছেন ৷ হিন্ডেনবার্গ মাধবী বুচ এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে বারমুডা এবং মরিশাসের তহবিলে অপ্রকাশিত বিনিয়োগের জন্য কাঠগড়ায় তুলেছে ৷ গোপন নথির উল্লেখ করে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ দাবি করেছে যে, আদানি কেলেঙ্কারিতে ব্যবহৃত অফশোর সংস্থাগুলিতে সেবি (SEBI) প্রধানের অংশীদারিত্ব ছিল।
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ তার অভিযোগে বলেছে যে, এপ্রিল 2017 থেকে মার্চ 2022 পর্যন্ত, মাধবী পুরি বুচ সেবির সদস্য এবং চেয়ারপার্সন ছিলেন। সিঙ্গাপুরে আগোরা পার্টনার্স নামে একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানে তার 100 শতাংশ শেয়ার ছিল। 16 মার্চ, 2022-এ সেবি চেয়ারপার্সন হিসাবে তার নিয়োগের দুই সপ্তাহ আগে, মাধবী পুরি বুচ তাঁর স্বামী ধাওয়াল বুচের নামে ওই কোম্পানিতে তাঁর শেয়ার স্থানান্তর করেছিলেন ।
এরপরই তৃণমূল নেতা সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, "সেবি প্রধানকে অবিলম্বে বরখাস্ত করা উচিত ৷ তিনি এবং তাঁর স্বামী যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন, তার জন্য সমস্ত বিমানবন্দরে লুকআউট নোটিশ জারি করা উচিত।" সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার (সেবি) প্রধান এই অভিযোগকে অবশ্য ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ৷ অন্যদিকে, আদানি গ্রুপও জানিয়েছে, মাধবী বুচের সঙ্গে তাদের কোনও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল না। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র কটাক্ষ করে বলেন, "সেবির চেয়ারম্যান যিনি একই তহবিলে বিনিয়োগ করেছেন এবং ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগও করেছেন সেগুলির তদন্তের প্রয়োজন ৷" (পিটিআই)