কলকাতা, 12 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালি নিয়ে এবার নড়েচড়ে বসল বাংলার শাসক শিবির ৷ দলের বিধায়ক সুকুমার মাহাতোকে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে বলে খবর। একই সঙ্গে, এবার সেখানে প্রতিনিধি দলও পাঠাচ্ছে তৃণমূল ৷ আগামিকাল মঙ্গলবার পার্থ ভৌমিক ও নারায়ণ গোস্বামী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাবেন বলেও জানা গিয়েছে ৷ তবে 144 ধারার বাইরের এলাকাতেই তাঁরা থাকবেন বলেও দলীয় সূত্রে খবর।
তৃণমূল সূত্রে খবর, আপাতত দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, 144 ধারা উঠলে সন্দেশখালিতে শান্তি ফেরাতে সভা করা হবে। প্রশাসনিক স্তরে অনুমান, 18 তারিখ 144 ধারা উঠতে পারে সন্দেশখালি থেকে। ওইদিন সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি অনুযায়ী সভা করতে পারে তৃণমূল। সেই সভাতেও হাজির থাকবেন, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, তাপস রায়, নারায়ণ গোস্বামী, সুকুমার মাহাতো, নির্মল ঘোষরা ৷
অন্যদিকে, এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালির জন্য রওনা হয়েছিলেন ৷ তবে বসিরহাট পুলিশ জেলার তরফ থেকে কলকাতা পুলিশকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছিল, কলকাতা পুলিশের আওতাধীন এলাকাতেই যেন বিজেপি বিধায়ক-সহ শুভেন্দু অধিকারীকে আটকে দেওয়া হয়। সেই মতো বাসন্তী হাইওয়েতেই শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির বিধায়কদের বাস আটকে দেয় কলকাতা পুলিশ। বাসন্তী হাইওয়ের কাছে সায়েন্স সিটির কাছে প্রায় চার ঘণ্টা আটকে থাকেন শুভেন্দু অধিকারীরা ৷ কলকাতা পুলিশের একাধিক প্রিজন ভ্যানও সেখানে এনে রাখা হয়েছে ৷ দীর্ঘক্ষণ সেই অবস্থায় থাকার পর ছাড়া পান শুভেন্দু-সহ বাকিরা।
সন্দেশখালি ইস্যুতে আপাতত তৃণমূলকে লাগাতার আক্রমণের পথে হাঁটতে চলেছে বিজেপি। একদিকে দলীয় বিধায়করা সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে, দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতর থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তাঁর মতে সন্দেশখালিতে কার্যত রাষ্ট্রীয় মদতে সন্ত্রাস করা হয়েছে। শেখ শাহাজাহানের বাহিনী বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের অত্যাচার চালাত বলেও দাবি স্মৃতির। এমনই প্রবল চাপের মুখে সন্দেশখালিতে প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল।