শিলিগুড়ি, 18 সেপ্টেম্বর: প্রায় দু'মাস ধরে বেঙ্গল সাফারি পার্কে বাঘের দেখা নেই ৷ আর তাতেই হতাশ উত্তরে বেড়াতে আসা পর্যটকরা ৷ বেঙ্গল সাফারি পার্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গলে বাঘের এনক্লোজারে সংস্কারের কাজের জন্যই বন্ধ রাখা হয়েছে 'টাইগার সাফারি' ৷ ফলে এই সাম্প্রতিক সময়ে বেঙ্গল সাফারি পার্কে বেড়াতে এসে 'টাইগার সাফারি' করতে না-পারায় মনমরা পর্যটকরা ৷
সংস্কারের কারণে বেঙ্গল সাফারিতে খাঁচায় বন্দি বাঘ ৷ (নিজস্ব চিত্র) তবে, চলতি সপ্তাহেই 'টাইগার সাফারি' শুরু হওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ ৷ অন্যদিকে, পুজোর আগে 'লায়ন সাফারি' শুরু করার কথা থাকলেও, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে ৷ কারণ, সিংহী তনয়া সন্তান সম্ভবা ৷ তাঁকে এই মুহূর্তে নাইট শেল্টারে রেখে সেবা শুশ্রূষা করা হচ্ছে ৷ পাশাপাশি, সিংহের এনক্লোজারেও কাজ চলছে ৷
বাঘের পর সিংহ প্রজননের দিকে তাকিয়ে বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ
এই বিষয়ে বেঙ্গল সাফারি পার্কের ডিরেক্টর বিজয় কুমার বলেন, "পুজোর আগে এনক্লোজারের জরুরিভিত্তিক সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে ৷ যে কারণে টাইগার সাফারি বন্ধ রাখা হয়েছিল ৷ তবে, কাজ প্রায় শেষের দিকে ৷ সব ঠিক থাকলে শুক্রবার নাগাদ কাজ শেষ হয়ে যাবে ৷ তা হলে, শনিবার থেকে ফের টাইগার সাফারি শুরু করা যেতে পারে ৷"
টাইগার সাফারি বন্ধ থাকার নোটিশ বেঙ্গল সাফারি কর্তৃপক্ষের ৷ (ইটিভি ভারত) অন্যদিকে, 'লায়ন সাফারি' নিয়ে রাজ্য জু অথরিটির সচিব সৌরভ চৌধুরী বলেন, "এখন সিংহের এনক্লোজারের কাজ চলছে ৷ আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে, পুজোর মরশুমে কাজ শেষ করার ৷ তবে, অনিশ্চয়তা রয়েছে ৷ অন্তত নাইট শেল্টার ও ডিসপ্লের জায়গার কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে ৷ আসলে সিংহ খুব স্পর্শকাতর প্রাণী ৷" তবে, পুজোর মরশুমে যাতে অন্তত সিংহ সুরজকে পর্যটকরা দেখার সুযোগ পান, এখন সেই চেষ্টাই চালাচ্ছে পার্ক কর্তৃপক্ষ ৷
জানা গিয়েছে, বেঙ্গল সাফারি পার্কে বর্তমানে বাঘের সংখ্যা 15টি ৷ তিনটি বাঘ অন্য চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়েছে ৷ উত্তরে পর্যটকদের এখন মূল আকর্ষণ বেঙ্গল সাফারি পার্ক ৷ একে একে নতুন অতিথিদের আগমনে ভরে উঠেছে সাফারি ৷ যার মধ্যে অন্যতম আকর্ষণ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ও সিংহ ৷ গত জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এনক্লোজারের সংস্কারের কাজের জন্য বন্ধ রাখা হয় 'টাইগার সাফারি' ৷ বাঘের এনক্লোজারের সংস্কারের জন্য প্রায় দশ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে বন দফতর ৷ অন্যদিকে, বাঘের এনক্লোজারের এলাকা বাড়ানো হচ্ছে ৷ ইতিমধ্যে, আরও একশো একর জমি পার্ক কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেছে বন দফতর ৷