জয়গাঁও, 23 অক্টোবর:পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদেনাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের কথা স্বীকার করল ধৃত তিন অভিযুক্ত ৷ বুধবার ধৃত বাবলু মিঞা, জাহিদুল ইসলাম এবং মনির মিঞা আলিপুরদুয়ার অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পেশ করে জয়গাঁও থানার পুলিশ । ধৃতদের 14 দিনের পুলিশি হেফাজতের দাবি করলে সাতদিনের দাবি মঞ্জুর করে আদালত ।
এদিন নিহত নাবালিকার দেহ আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়। সেই রিপোর্ট আসার পরেই নিশ্চিত হওয়া যাবে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কি না। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, তার আগে জেরায় ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্তরা ।
এই বিষয়ে সরকারি আইনজীবী পীযূষকান্তি দত্ত জানান, মঙ্গলবার গ্রেফতার হওয়া তিনজন অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে সাতদিনের পুলিশি জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ এই ঘটনাটি গণধর্ষণ করে খুনের ৷ পকসো মামলার বেশ কয়েকটি বিভাগে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ এর উপর ভিত্তি করে পরবর্তী তদন্ত এগোবে ৷
নাবালিকাকে বাড়ি থেকে খাবারের লোভ দেখিয়ে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় ৷ তথ্য প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে নাবালিকার দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয় ৷ এরপর অভিযুক্তরা নেপাল পালিয়ে যাওয়ার ছক কষছিল ৷ সেই সময় একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি দু'জনকে ধরা হয় ৷ 4 নভেম্বর পকসো আদালত খোলার পর সেখানে ফের ধৃতদের পেশ করা হবে ৷
অন্যদিকে, এদিন আলিপুরদুয়ারে এসে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ তিনি বলেন, "জয়নগর হোক বা আরজি কর-শুধু জায়গার নাম পরিবর্তন হচ্ছে । একই ধরনের ঘটনা বারবার হচ্ছে। যতদিন এই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন ততদিন এই ধরনের ঘটনা বারবার হবে। যেসব অপরাধীরা ধর্ষণ করছে তাদেরকে বাঁচানোর জন্য সব সময় চেষ্টা করেন এই মুখ্যমন্ত্রী ।"