আসানসোল, 7 জানুয়ারি: ঝাড়খণ্ডের প্রান্তিক অঞ্চলের বহু গ্রামের ভরসা এপারের পশ্চিম বর্ধমান জেলা । রুজি রোজগার থেকে শুরু করে চিকিৎসা, সবকিছুর জন্যই ভরসা করতে হয় আসানসোলের উপর । কিন্তু ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিম বর্ধমানের সংযোগকারী স্থায়ী সেতু সেই গ্রামগুলি থেকে প্রায় 30 কিলোমিটার দূরে । আর তাই যাতায়াতের সুবিধার জন্য অজয় নদের বুকে তৈরি করা হয়েছিল একটি অস্থায়ী পথ । বহু বছর ধরে চলা এই পথ এবার ভেঙে দিল জেলা প্রশাসন । এর ফলে সমস্যায় পড়বেন হাজার হাজার মানুষ ৷
আসানসোলের বারাবনি ব্লকের আমুলিয়া এলাকায় অজয় নদের উপরে ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে সংযোগকারী একটি অস্থায়ী পথ নির্মাণ করা হয়েছিল ৷ নদীর বুকে পাইপ দিয়ে জল পারাপারের রাস্তা তৈরি করে দিয়ে সেই পাইপের উপরে বোল্ডার এবং মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল পথ । স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের ওপারের গ্রামগুলির পক্ষ থেকেই এই পথটিকে নির্মাণ করা হয়েছিল তাদের নিজেদের সুবিধার জন্য । ওই পারে প্রায় 15 থেকে 20টি গ্রামে কোনও বাংলা মাধ্যম স্কুল নেই, নেই কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র । চিকিৎসা করাতে গেলে পৌঁছতে হয় বীরভূমের সিউড়িতে । যার দূরত্ব অনেকটাই । অন্যদিকে স্থায়ী সেতু দিয়ে আসানসোলে ঘুরপথে আসতেও প্রায় 30 কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয় ।
আর তাই চিকিৎসা ও শিক্ষার জন্য নদীর উপরেই একটি অস্থায়ী পথ তৈরি করে ফেলেছিলেন গ্রামবাসীরা । যার ফলে মাত্র চার কিলোমিটারের মধ্যেই তাঁরা পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ঢুকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র কিংবা স্কুল বা সমস্ত কিছু হাতের কাছে পেয়ে যেতেন এতদিন । কিন্তু বিষয়টি বেআইনি । নদীর গতিপথ এভাবে অবরুদ্ধ করা যায় না । তাই বারাবনি ব্লক প্রশাসন, বারাবনি থানার পুলিশ এবং ভূমি ও ভূমি রাজস্ব বিভাগ যৌথভাবে এই অস্থায়ী পথটিকে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিল । সোমবার থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে ।