উপনির্বাচনের ফল প্রমাণ করে দিল মানুষ কারও পাতা ফাঁদে পা দেয়নি: স্বপন দেবনাথ
উপনির্বাচনে জয় তৃণমূল কংগ্রেসের উপরে সাধারণ মানুষের আস্থা ফের প্রমাণ করে। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর শ্রীরামপুরে বিজয় উৎসবে এমনই মন্তব্য মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের।
পূর্বস্থলী, 24 নভেম্বর: সিতাই, মাদারিহাট, তালডাংরা, মেদিনীপুর, নৈহাটি ও হাড়োয়ায় উপনির্বাচনে জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই নির্বাচনের জয় তৃণমূল কংগ্রেসের উপরে সাধারণ মানুষের আস্থা ফের প্রমাণ করে। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর শ্রীরামপুরে বিজয় উৎসব পালন করতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় সূত্রে দাবি, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে একটা অপপ্রচার চলছিল। মানুষের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করার অপচেষ্টা চলছিল। আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা হচ্ছিল। কিন্তু, সাধারণ মানুষ সেই ফাঁদে পা দেয়নি। সিতাই, মাদারিহাট, তালডাংরা, মেদিনীপুর, নৈহাটি ও হাড়োয়ায় বিপুল ভোটে জিতেছে তৃণমূল। শুধু তাই নয়, বিজেপির হাত থেকে মাদারিহাট ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল।
এদিন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, "এই নির্বাচনের আগে আর জি করকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চলেছিল। বদনাম দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হচ্ছিল। যারা অপরাধ করেছিল তাদের সাজা হোক, ফাঁসি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীও সরব হয়েছিলেন। তবুও বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন করেছিলেন। আন্দোলনে কোনও বাধা ছিল না। কিন্তু, আন্দোলনের নাম করে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়েছিল ৷ রোগীদের পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া-সহ অনেক কিছুই করেছিল ৷ কিন্তু, উপনির্বাচন প্রমাণ করে দিল, মানুষ কিন্তু কারও পাতা ফাঁদে পা দেয়নি ।"
রাজ্যের মন্ত্রী আরও বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ধৈর্য ধরে জুনিয়র চিকিৎসকদের কথা শুনেছেন। দিনের পর দিন তাদের প্রতি তিনি সহানুভূতিশীল ছিলেন। তাই বাংলার মানুষ রায় দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে। উপনির্বাচনে ছটা আসনের মধ্যে সব আসনেই আমরা জিতেছি। লোকসভাতে সন্দেশখালি নিয়ে একটা অপপ্রচার চলেছিল। সেই সন্দেশখালিও ওরা জিততে পারেনি। তাই এই ফলাফলে আমরা খুশি। আমরা ওই সব এলাকার ভোটারদের অভিনন্দন জানিয়েছি।"