পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

খোঁজ নেই দুই দাদার ! বাংলাদেশের হিংসার ঘটনায় উৎকণ্ঠায় রায়গঞ্জের সঞ্জিত - BANGLADESH SITUATION

দাদাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । তারপর থেকে নেই কোনও খোঁজ । রায়গঞ্জে উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন সঞ্জিত চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবার ৷

Tension Grips Indian Family
পদ্মপাড়ের ঘটনায় উৎকণ্ঠায় রায়গঞ্জের সঞ্জিত (ইটিভি ভারত)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 17, 2024, 5:04 PM IST

রায়গঞ্জ, 17 ডিসেম্বর: বাংলাদেশে রয়েছেন তাঁর দুই দাদা। দু’জনেই সুপ্রতিষ্ঠিত । একজন পুলিশ আধিকারিক। অন্যজন এলাকার কাউন্সিলর । তবে বর্তমান বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতিতে তাদের কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না এপারে থাকা একমাত্র ভাই । দুশ্চিন্তায় কাটছে দিন তাঁর।

বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতির ঘটনায় চিন্তিত গোটা বিশ্ব। সেখানে থাকা সংখ্যালঘু মানুষদের উপরে অত্যাচারের ঘটনা প্রতিনিয়ত চিন্তার ভাঁজ ফেলছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। বিভিন্ন মাধ্যমে সেই অত্যাচারের ঘটনা দেখে আতঙ্কে এপারে থাকা মানুষজনও । ঠিক এভাবেই বাংলাদেশে থাকা দুই দাদা ও তাঁদের পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে রায়গঞ্জের সঞ্জিত চক্রবর্তীর ।

উৎকণ্ঠায় রায়গঞ্জের সঞ্জিত (ইটিভি ভারত)

পেশায় ব্যবসায়ী সঞ্জিত চক্রবর্তী রায়গঞ্জ শহরের কসবা এলাকার বাসিন্দা। দুই দাদা স্বপন চক্রবর্তী ও তরুণ চক্রবর্তী বাংলাদেশের সুপ্রতিষ্ঠিত নাগরিক । স্বপন চক্রবর্তী বাংলাদেশের দিনাজপুরের পীরগঞ্জ থানার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক । তরুণ চক্রবর্তী বাংলাদেশের বগুড়া এলাকার দত্তপাড়ার কাউন্সিলর । তবে বাংলাদেশে অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকেই তাঁদের কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না সঞ্জিত। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগেই তাঁরা জানতে পারেন, দাদাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। দুই দাদা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কোন খোঁজ নেই ।

তাঁরা কী অবস্থায় রয়েছেন, আদৌ বেঁচে আছেন নাকি তাঁদের মৃত্যু হয়েছে- সেই চিন্তাতেই আতঙ্কে দিন কাটছে সঞ্জিত চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের । সঞ্জিত বলেন, ‘‘আমার দুই দাদা বাংলাদেশে থাকেন । একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক, অপরজন কাউন্সিলর । বাংলাদেশের অশান্তির ঘটনার খবর পেয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে চলেছি ৷ তবে তাঁদের কোনও খোঁজ-খবর পাচ্ছি না । এক মাধ্যম থেকে জানতে পারি, তাঁদের বাড়িঘর ভেঙে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । কিন্তু পরিবারের লোকেদের কোনও খোঁজ নেই । তাঁরা কী অবস্থায় আছে, আদৌ বেঁচে আছে কি না সেটাও জানতে পারছি না । খুব অসহায় লাগছে । পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গিয়ে দেখে আসতে পারতাম। কিন্তু এখন তো কোনওভাবেই যেতে পারছি না ।’’

আরও পড়ুন

ABOUT THE AUTHOR

...view details