কলকাতা, 26 মার্চ:রামকৃষ্ণলোকে স্বামী স্মরণানন্দ ৷ মঙ্গলবার রাত আটটা 14 মিনিটে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে জীবনাবসান হয় স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজের ৷ দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি ৷ 94 বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠের ষোড়শ অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ ৷ 2017 সালে বেলুড় মঠের অধ্যক্ষ হন তিনি ৷ এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন ৷
বেলুড় মঠের অধ্যক্ষ স্বামী আত্মস্থানন্দজির প্রয়াণের পর স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। 2017 সালের 17 জুলাই রামকৃষ্ণ মঠের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে তিনি বার্ধক্য জনিতে অসুস্থতায় ভুগছিলেন। প্রায় একমাস তিনি ভর্তি ছিলেন কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে। স্নায়ু এবং অন্যান্য বিভাগের চিকিৎসকরা তাঁকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন ৷ ধীরে ধীরে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি দেখা গিয়েছিল। সম্প্রতি ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় ৷ শেষ পর্যন্ত তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। কলকাতায় এসে রামকৃষ্ণ মঠের প্রেসিডেন্ট মহারাজকে দেখতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ এরপর হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও ৷
স্মরণানন্দ মহারাজের প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷ এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, "রামকৃষ্ণ মঠ এবং রামকৃষ্ণ মিশনের শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী স্মরণানন্দজী মহারাজ আধ্যাত্মিকতা এবং সেবায় তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। অগণিত হৃদয় ও মননে অমলিন ছাপ রেখে গিয়েছেন। তাঁর সহানুভূতি ও প্রজ্ঞা প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। কয়েক বছর ধরে তাঁর সঙ্গে আমার খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। 2020 সালে বেলুড় মঠে আমার সফরের কথা মনে পড়ছে, সেই সময় আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কয়েক সপ্তাহ আগে কলকাতায় আমি হাসপাতালে গিয়ে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছিলাম। আমার ভাবনা বেলুড় মঠের অগণিত ভক্তদের সঙ্গে জড়িত। ওম শান্তি।"