বর্ধমান, 12 নভেম্বর: রাজ্যের প্রায় তিনশোরও বেশি স্কুলের পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার সরকারি টাকা অজানা ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে ৷ সেই তালিকায় পূর্ব বর্ধমানের 20টি স্কুলের নাম ছিল ৷ যার তদন্তে নেমে মালদার বৈষ্ণবনগর থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করল বর্ধমান থানার পুলিশ ৷ অন্যদিকে, যৌথ অভিযানে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ও ইসলামপুর থেকে ট্যাব দুর্নীতি-কাণ্ডে 3 জনকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ ৷
উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমানের প্রায় কুড়িটি স্কুলের পড়ুয়াদের ট্যাবের সরকারি টাকা ভিনরাজ্য ও এরাজ্যের অন্য জেলার বেনামি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢোকার অভিযোগ ওঠে ৷ যার তদন্ত নেমে মালদার বৈষ্ণবনগর এলাকা থেকে 29 বছরের হাসেম আলিকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি বছরের 31 অক্টোবর বর্ধমান সিএমএস স্কুলের তরফে পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানানো হয় ৷ সেখানে বলা হয়, 'তরুণের স্বপ্ন' প্রকল্পের অধীনে একাদশ শ্রেণির 28 জন পড়ুয়া ট্যাব কেনার টাকা পায়নি ৷ পুরো জেলার 20টি স্কুল থেকে এই ধরনের অভিযোগ জমা পড়েছিল ৷
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, উপভোক্তা পড়ুয়াদের সব টাকা ক্রেডিট হলেও যে অ্যাকাউন্টে টাকা যাওয়ার কথা ছিল, সেখানে টাকা যায়নি ৷ পরিবর্তে স্কুলের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা চলে গিয়েছে ৷ এরপরেই সাইবার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটা টিম তৈরি করা হয় ৷ তাঁরা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেন ৷ যে সব ভুয়ো ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছিল, সেগুলি পুলিশ চিহ্নিত করে ৷ ওই অ্যাকাউন্টগুলির মধ্যে 25টি অ্যাকাউন্টেই টাকা হোল্ড করানো হয় ৷
এরপর পুলিশের টেকনিক্যাল টিমের সাহায্য নিয়ে তদন্ত চলতে থাকে ৷ শিক্ষা দফতরের সঙ্গে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে একজনকে শনাক্ত করা হয় ৷ সেই মতো সোমবার মালদায় বর্ধমান পুলিশের একটা দল অভিযান চালিয়ে বৈষ্ণবনগর এলাকা থেকে হাসেম আলিকে গ্রেফতার করে ৷ পুলিশ জানতে পেরেছে সাইবার অপরাধীরা অন্য অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে প্রতারণার জাল বিছিয়েছিল ৷ কিন্তু, কীভাবে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য সাইবার অপরাধীদের হাতে গিয়ে পৌঁছাল সেটা ভাবাচ্ছে পুলিশকে ৷