পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

কালিয়াচকে বার্ড ফ্লু আক্রান্ত শিশুর বাড়িতে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা - Bird Flu Scare in WB

Bird Flu Scare: মালদার কালিয়াচকে বার্ড ফ্লু আক্রান্ত শিশুর বাড়িতে গেলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা ৷ পাশাপাশি তাঁরা যান সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালেও ৷

Bird Flu Scare
বার্ড ফ্লু আক্রান্ত শিশুর বাড়িতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দল (ইটিভি ভারত)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 14, 2024, 4:23 PM IST

Updated : Jun 14, 2024, 4:42 PM IST

মালদা, 14 জুন: প্রায় 50 মিনিট সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতাল, তারপর মিনিট 15 বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত শিশুর বাড়িতে পরিদর্শন - কালিয়াচকের শেরশাহী মিস্ত্রিপাড়া গ্রামের চার বছরের শিশুর বিরল ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় শুক্রবার প্রায় 65 মিনিটেই তদন্ত শেষ হল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দলের ৷ এলাকা ছাড়ার সময় তাঁরা জানিয়ে গেলেন, তাঁরা শুধু নজরদারি করতেই এসেছিলেন ৷ গোটা ঘটনার উপর তাঁদের নজরদারি চলবে ৷

বার্ড ফ্লু আক্রান্ত শিশুর বাড়িতে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা (নিজস্ব ভিডিয়ো)

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে দীপঙ্কর মাঝি বলেন, "আজ এখানে বিভিন্ন রোগের সার্ভিল্যান্স নিয়ে আলোচনা হয়েছে ৷ যে শিশুটি বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছিল, তাকে নিয়েও আলোচনা হয়েছে ৷ তবে এই ভাইরাস আর কারও মধ্যে পাওয়া যায়নি ৷ এনিয়ে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই ৷ যা পদক্ষেপ করার তা করা হয়েছে ৷ কীভাবে নজরদারি চালানো হবে, তা প্রাণিকল্যাণ বিকাশ দফতর সঠিক ভাবে বলতে পারবে ৷"

বুধবার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে জানায়, পশ্চিমবঙ্গে দু’জন বার্ড ফ্লু আক্রান্ত শিশুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে ৷ এর মধ্যে আড়াই বছরের একটি শিশু আছে ৷ যে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের বাসিন্দা ৷ বিমানে কলকাতায় ফিরেছিল ৷ দ্বিতীয় শিশুটি কালিয়াচকের ৷ তার বয়স চার বছর ৷ দুজনেই বিরল এইচ9এন2 ভাইরাসে আক্রান্ত ৷ হু’র রিপোর্টে আরও বলা হয়েছিল, কালিয়াচকের শিশুটি বাড়ির পোলট্রি ফার্ম থেকে বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয় ৷ এরপরই আতঙ্ক ছড়ায় রাজ্যে ৷

স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে কালিয়াচকে যাচ্ছে রাজ্যের বিশেষ টিম ৷ সেই মতোই শুক্রবার ডা. দীপঙ্কর মাঝির নেতৃত্বে তিনজনের এক প্রতিনিধি দল কালিয়াচকে যায় ৷ প্রথমেই দলের সদস্যরা সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে যান ৷ সেখানে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেন ৷ সেখান থেকে তাঁরা যান ওই শিশুর বাড়িতে ৷ যদিও সেখানে ওই শিশুকে দেখতে পাননি বলে দাবি করেছেন তাঁরা ৷

আক্রান্ত শিশুর বাবা বলেন, "পেটে ব্যাথা নিয়ে ছেলেকে মালদা মেডিক্যালে ভর্তি করেছিলাম ৷ কয়েকদিন চিকিৎসার পর ওকে ছেড়েও দেওয়া হয় ৷ বাড়ি ফেরার পর ছেলে ফের অসুস্থ হয়ে যায় ৷ ওকে আবার মালদা মেডিক্যালে নিয়ে যাই ৷ চিকিৎসকরা জানান, ছেলেকে পোকা কামড়েছে ৷ তা থেকে গোটা শরীরে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে ৷ ছেলেকে এখান থেকে নীলরতনে রেফার করে দেওয়া হয় ৷ সেখানে দু’মাস ওর চিকিৎসা চলে ৷ জানা যায়, এইচ9এন2 ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৷ সব কিছু বিক্রি করে প্রচুর টাকা ঋণ নিয়ে ছেলের চিকিৎসা করেছি ৷ তাই সরকারের কাছে আমার আবেদন, আমাকে আর্থিক সহায়তা করা হোক ৷ অথবা বিনা পয়সায় অক্সিজেনটুকু দেওয়া হোক ৷"

Last Updated : Jun 14, 2024, 4:42 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details