জলপাইগুড়ি, 11 সেপ্টেম্বর: রেললাইনের মাঝে পাথর বা অন্য কিছু রেখে দেওয়ার ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায় ৷ অনেক দুর্ঘটনায় তেমনটা হয়ে থাকে, যা রেল কর্তৃপক্ষের জন্য দুশ্চিন্তার ৷ বুধবার জানালেন আরপিএফের ডিজি মনোজ যাদবা ৷ সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর আর্জি, কেউ যেন ভুল করেও রেললাইনে পাথর বা অন্য ভারী কিছু ফেলে না রাখে ৷
আরপিএফ ডিজি মনোজ যাদবা (ইটিভি ভারত) এছাড়া, ট্রেনে সফররত মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও বার্তা দেন ডিজি মনোজ যাদবা ৷ এদিন তিনি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ট্রেনে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন পর্যন্ত পরিদর্শন করেন ৷ জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন পরিদর্শন করে আরপিএফ-এর উচ্চাধিকারিক ৷
এদিন সকালে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে রেললাইন পরিদর্শন করতে করতে ডিজি আসেন জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন ৷ এখানেও রেললাইনের ট্র্যাক পরিদর্শন করেন তিনি ৷ জলপাইগুড়ি আরপিএফের পোস্ট, আরপিএফ জওয়ানদের থাকার ব্যারাক পরিদর্শন করে ডিজি ৷
ট্রেন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে নাশকতার গন্ধ পাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ ৷ সাধারণ মানুষ যেন কোনও ভাবে রেললাইনে কোনও পাথর বা অন্য কিছু না রাখে ৷ এর জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির কথা বলেন ডিজি মনোজ যাদবা ৷ প্ল্যাটফর্মের জিআরপি আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি । এদিন ডিজির সঙ্গে ছিলেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আরপিএফের চিফ সিকিউরিটি কমিশনার অভিষেক কুমার-সহ আরপিএফ-এর অন্যান্য আধিকারিকরা ৷
এদিন ডিজি মনোজ যাদবা বলেন, "জলপাইগুড়ি দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ৷ সেই পয়েন্টে খুব গুরুত্বপূর্ণ ৷ আমি ডিআরএম-এর সঙ্গে পরিদর্শনে এসেছি ৷ মহিলাদের উপর যাতে কোনও অপরাধ না হয় সেটা দেখছি ৷ রেলের মেরি সহেলি অ্যাপ আছে ৷ যে মহিলারা একা যাত্রা করেন, রেলের রিজার্ভেশন সিস্টেম থেকে তাঁদের বিস্তারিত তথ্য তৈরি করা হয় ৷ প্রতি স্টেশনে মহিলা পুলিশ তাঁদের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন ৷ আসলে মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং তাঁরা যে নিরাপদ, সেই বোধটাও আমাদের দিতে হবে ৷"
তিনি জানান, রেলের রেল মদত 139 ফোন নম্বরে কোনও মহিলা নিরাপত্তার জন্য ফোন করতে পারেন ৷ রেললাইনে যে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হচ্ছে বলে আশ্বস্ত করলেন আরপিএপ ডিজি ৷
তিনি আরও বলেন, "বেশির ভাগ সময় দেখা যায় যে গ্রামবাসী, বাচ্চারা বিকেলে খেলতে খেলতে পাথর রেখে দেয় ৷ আমরা তাদেরও বলব, রেলের সঙ্গে খেলা নয় ৷ রেললাইনে কিছু রাখা যাবে না, যাতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে না পারে ৷"