কলকাতা, 8 এপ্রিল: আইএসএফের সঙ্গে জোট না-হওয়ায় সিপিএম শেষমেষ ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে নতুন প্রজন্মের মুখ প্রতীকউর রহমান-কে। তিনি কতটা প্রস্তুত ছিলেন ? প্রতীকউর রহমান বলেন, "আমরা প্রতিদিন রাস্তায় থাকি। চাকরিপ্রার্থীরা যখন রাস্তায় বসে আন্দোলন করেন, তখন আমাদের নেতারা এসি ঘরে বসে বাইট দেননি । মানুষের জর্জরিত অবস্থা উপেক্ষা করে টিকটক ভিডিয়ো বানায় না।"
রাজ্যের 42 আসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন এই ডায়মন্ড হারবার ৷ যেখানে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, যাঁকে দলের সেনাপতি বলা হয়, তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁর বিরুদ্ধে ৷ কোন পথে তবে লড়াই হবে ? প্রতীকউরের কথায়, "আমার প্রতিদ্বন্দ্বী অভিষেক নয়, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল। যারা চোর যারা দুর্নীতিবাজ, বিভাজনকামী, গণতন্ত্রহরণকারী তাদের বিরুদ্ধে লড়াই । এই লড়াই লড়তে আমরা প্রস্তুত আছি ।"
এই আসনে নওশাদ সিদ্দিকী প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছিলেন । সিপিএম সমর্থন দেবে বলেও জানিয়েছিল । তবে আইএসএফ সেই জোট করেনি । তারা এই আসনে যেমন প্রার্থী দিয়েছে, তেমন বাকি 12 আসনেও প্রার্থী দিয়েছে । এই প্রসঙ্গে প্রতীকউর রহমান বলেন, "নওশাদ দাঁড়াবে বলেছিল মানুষ একটা আশা করেছিল । জানি না তিনি কোনও কারণে দাঁড়ালেন না । এতে বাড়তি অসুবিধা কিছু হবে না ।"
তৃণমূল, বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে আইএসএফ জোটে না আসায় ? প্রতীকউর বলছেন, "বাংলার মানুষ রাজনৈতিক সচেতন । আস্থা আছে ।" তাঁর দাবি, "বহু মানুষ ফোন করছেন ৷ নওশাদ দাঁড়াননি বলে তাঁরা কিছুটা আশাহত হলেও আমার পাশে মানুষ থাকবেন বলেই জানাচ্ছেন । যারা জেল খাটল, পঞ্চায়েত ভোট মিথ্যা মামলায় জড়িত হল, তারা লড়াইয়ের ময়দানে থাকবে বলে ফোন করছেন ।"
ডায়মন্ডহারবার লোকসভা এলাকায় কোন কোন ইস্যুকে প্রচারে তুলে ধরবেন ? সিপিএম প্রার্থী জানাচ্ছেন, বিগত 10 বছর যিনি এই কেন্দ্রের সাংসদ, তাঁর আমলে মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি । এমন বহু জায়গা আছে যেখানে মানুষ ভোট দিতে পারেননি বলেও অভিযোগ বাম প্রার্থীর ।