পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

বিজেপির সদস্যতা অভিযানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ধান ও আলু চাষ !

রাজ্যজুড়ে 1 কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বিজেপি ৷ যার অন্যতম অংশ জলপাইগুড়ি জেলায় সদস্য সংগ্রহের পথে বাধা তৈরি হয়েছে ৷

OBSTACLE IN BJP MEMBERSHIP DRIVE
বিজেপির সদস্যতা অভিযান নিয়ে বৈঠক জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃত্বের ৷ (নিজস্ব চিত্র)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 4 hours ago

জলপাইগুড়ি, 16 নভেম্বর: রাজ্যে 2026 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে এক কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়ে গিয়েছেন অমিত শাহ ৷ কিন্তু, সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে গিয়ে জলপাইগুড়ি জেলায় পিছিয়ে পড়ছে বিজেপি ৷ এমনটাই দাবি দলের রাজ্য সম্পাদক দীপক বর্মনের ৷ জেলায় তাঁদের টার্গেট 2 লক্ষ সদস্য সংগ্রহ ৷ সেখানে মোটে 30 হাজার পূরণ হয়েছে ৷

আর এর পিছনে কারণ হিসেবে ধান ও আলু চাষের মরশুমকে দায়ী করছেন দীপক বর্মন ৷ তাই কীভাবে জলপাইগুড়ি জেলায় সদস্য সংখ্যা বাড়ানো যায়, সেনিয়ে জেলা কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করলেন তিনি ৷ ছিলেন জলপাইগুড়ির সাংসদ বিজেপির জয়ন্তকুমার রায় ৷ আসাম মোড়ে সাংসদ অফিসেই শনিবার বৈঠক হয় ৷

এ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক দীপক বর্মন বলেন, "আজ জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সদস্যতা নিয়ে বৈঠক ছিল ৷ আগামিকাল রবিবার সদস্যতা নিয়ে একটা বিশেষ ড্রাইভ আছে ৷ সেটা নিয়েই জেলা সদস্যতা অভিযান দল, জেলার পদাধিকারী ও বিধানসভার আহ্বায়কদের নিয়ে আলোচনা হল ৷ একটাই কথা বলা হয়েছে, আগামিকাল প্রত্যেককে বুথে বুথে নামতে হবে ৷ বুথে মানুষের পাশে থাকতে হবে ৷ মোটামুটি ভাবে দেড় থেকে দুই লক্ষ সদস্য সংগ্রহ করা হবে ৷ এখনও, পর্যন্ত নতুন করে 30 হাজার মানুষ সদস্য হয়েছেন ৷"

কী উপায়ে তা হবে ? সেই নিয়েও কথা বললেন রাজ্য সম্পাদক ৷ তিনি বলেন, "বুথে-বুথে কর্মীদের উৎসাহ দান করেই কাজটা করতে হবে ৷ এই সময়টা উত্তরবঙ্গের কৃষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৷ এই সময়টা আলু চাষ ও ফসল কাটার মরশুম ৷ এই সময়ে লোক পাওয়াটাও খুবই সমস্যার ৷ সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দুই তৃতীয়াংশ বুথে আমাদের কর্মীদের ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল ৷ প্রচুর বুথে ছাপ্পা দেওয়া হয়েছে ৷ আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটে প্রত্যাশা করেছিলাম 70 শতাংশ ভোট পড়বে ৷ কিন্তু, দিনের শেষে দেখা গেল 65 শতাংশ ভোট পড়েছে ৷"

জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্তকুমার রায় বলেন, "বৈঠকে মূলত সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর অভিযান নিয়েই আলোচনা হল ৷ সেই মোতাবেক কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ পুজো গিয়ে ধানকাটার মরশুম চলছে ৷ অন্যদিকে, সিতাই উপনির্বাচনে আমাদের দেড়শো বুথে লোক দিতে পারিনি ৷ ভোটের সময় তাঁদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ ভোট ঠিকমতো হলে আমরাই জিততাম ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্য পুলিশের নির্দেশে চলে ৷ ফলে তাঁরা কীভাবে কাজ করবে ? আমার বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলাম ৷ সেটা মানা হয়নি ৷ স্পর্শকাতর বুথেও কিউআরটি কাজ করেনি ৷ আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি ৷"

ABOUT THE AUTHOR

...view details