কলকাতা, 27 অগস্ট: আরও একবার কঠোর ধর্ষণ বিরোধী আইন চেয়ে সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । রাজ্য রাজনীতি যখন ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে সরগরম, রাস্তাঘাটে যখন নবান্ন অভিযান রুখতে তৎপর পুলিশ, ঠিক তখনই সোশাল মিডিয়ায় এই কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন অভিষেক । সরাসরি পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানিয়ে দিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার কড়া আইন না-করলে সমস্ত কিছুই অর্থহীন ।
মঙ্গলবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ধর্ষণের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর বার্তা, "এই কোলাজটি গত 15 দিনে ভারতে রাষ্ট্রীয় অবস্থার একটি অবিচ্ছিন্ন অনুস্মারক হিসাবে দাঁড়িয়েছে, যেহেতু জাতি ধর্ষণের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করছে ৷ উত্তরটি স্পষ্ট, প্রয়োজন একটি কঠোর ধর্ষণ বিরোধী আইন । যেটি 50 দিনের মধ্যে অপরাধীদের দোষী সাব্যস্ত করে বিচার নিশ্চিত করবে । একইসঙ্গে, প্রয়োজন অবিলম্বে কঠোর শাস্তি।"
পরিসংখ্যান তুলে তিনি বলেন, "চমকপ্রদ সত্য হল যে, ভারতে এই ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার মাত্র 26 শতাংশ । অতএব প্রতি 100টা ঘটনায় মাত্র 26 জন অপরাধী শাস্তি পায়, বাকি 74 জন অপরাধী অব্যাহতি পায় । আমরা যদি এই ভয়ঙ্কর অপরাধের শিকারদের ন্যায়বিচার দিতে চাই, তাহলে আমাদের রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের কাছে একটি সময়সীমাবদ্ধ ধর্ষণ বিরোধী আইন দাবি করা অপরিহার্য । অন্য কিছু নিরর্থক, নিছক প্রতীকী এবং শেষ পর্যন্ত অকার্যকর !"
প্রসঙ্গত, যেভাবে আজ ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযান নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল, সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ । মনে করা হচ্ছে, এই বক্তব্যের মাধ্যমে আজকের এই কর্মসূচিকে সারবত্তাহীন প্রমাণ করতে চাইছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ।
এর আগে, এই একই দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সোমবার তাঁকে সেই চিঠির জবাব দিয়ে পালটা প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী ৷ তিনি লেখেন, 50 হাজার পকসো মামলা বকেয়া রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে ৷ তবু অচল হয়ে পড়ে রয়েছে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট ৷