দুর্গাপুর, 8 জানুয়ারি:লাল মুনিয়া, সবুজ বাঁশপাতি, দেশি চাঁদিঠোঁট-সহ নানা বিরল প্রজাতির পাখি রয়েছে অজয়ের পাশের জঙ্গলে । বনদফতরের সমীক্ষায় উঠে এল এমনই তথ্য । বর্ধমান বনবিভাগের উদ্যোগে দু'দিন ধরে চলে বিরল প্রজাতির পাখিদের গণনা ।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুর্গাপুর বনাঞ্চলের বনকর্মীরা কাঁকসার দেউলে অজয় নদের কিনারায় পক্ষীপ্রেমীদের সঙ্গে নিয়ে এই সমীক্ষা চালায় । নৌকায় চেপেও চালানো হয় সমীক্ষা । এখানে উপস্থিত ছিলেন শিবপুরের বিট অফিসার অনুপকুমার মণ্ডল-সহ বনকর্মীরা । লাল মুনিয়া, মাছরাঙা, ফিঙে, হাঁড়িচাচা-সহ দশ রকমের বিরল প্রজাতির পাখির দেখা মিলেছে । দেখা মিলেছে বহু পরিযায়ী পাখিরও । একইভাবে বুধবার দামোদর নদের পাড়ে মোবারকগঞ্জেও চলে এই সমীক্ষা ।
পাখিদের গণনা চলে অজয় নদের তীরে (ইটিভি ভারত) বনদফতর সূত্রে খবর, বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সব কিছুরই প্রয়োজন । পাখিদের সংখ্যা নিয়েও প্রতিবছর গণনা হয় । সেই সমীক্ষা থেকে এখানে আসা বহু বিরল প্রজাতির পাখির দেখা মেলে । সেই পাখি কত রয়েছে, তাও গণনা করা হয় । বিরল প্রজাতির পাখিদের সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ নজরদারিও চালানো হয় ।
বনদফতরের তরফে পাখিদের গণনা চলে (নিজস্ব ছবি) বর্ধমান বনবিভাগের ডিএফও সঞ্চিতা শর্মা বলেন, "বনদফতরের উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও পক্ষীপ্রেমীদের সঙ্গে নিয়ে শুরু হয়েছে পাখিদের সমীক্ষা । বিশেষ করে বর্ধমান বনবিভাগের কাটোয়া বনাঞ্চল, বর্ধমান বনাঞ্চল ও দুর্গাপুর বনাঞ্চলে এই সমীক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছে । দুর্গাপুর রেঞ্জের অজয় নদের ধার ও দামোদর নদের পাশের জঙ্গলে বিরল প্রজাতির পাখিদের সংখ্যা কত রয়েছে, সেগুলি সমীক্ষা করে দেখা হচ্ছে । যে যে এলাকায় বিরল প্রজাতির পাখি রয়েছে, সেই এলাকাগুলিতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে ।"
বহু পরিযায়ী পাখির দেখা মিলেছে (নিজস্ব ছবি) অন্যদিকে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির দেশীয় ও পরিযায়ী পাখিদের জীবনযাত্রা ব্যাহত যাতে না হয়, তার জন্য বনদফতরের পক্ষ থেকে কাঁকসার দেউল পার্ক লাগোয়া একটা বড় অঞ্চলে লাউড স্পিকারের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷ যারা পিকনিক করতে আসছেন তাদেরকে লাউড স্পিকার ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে । অতি শীঘ্র সেই এলাকায় ব্যানার দিয়ে লাউড স্পিকার বাজালে শাস্তিস্বরূপ জরিমানা আদায় করার কথাও জানানো হবে বলে জানিয়েছে বনদফতর ।