বারাসত, 26 অগস্ট:দায়িত্ব নিয়েছেন, চারদিন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, তারপরও নয়া অধ্যক্ষ চিকিৎসক সুহৃতা পালকে ঘিরে ক্ষোভ কমছে না কিছুতেই। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চলছেই বারাসতে। সাধারণ মানুষের পর এবার সুহৃতা পালের অপসারণ চেয়ে মঙ্গলবার পথে নামল বাম ছাত্র-যুব সংগঠন। কর্মস্থল চত্বরেই উঠল 'সুহৃতা পাল দূর হটো'-স্লোগানও।
বারাসতের রাস্তায় বাম ছাত্র যুব সংগঠন (ইটিভি ভারত) এদিন জোর করে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই ও এআইডিডব্লিউএ'র কর্মী, সমর্থকরা হাসপাতালের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। যার জেরে হাসপাতাল চত্বরে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে, হাসপাতাল গেটের সামনেই প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। সেই সময় সেখানে চলে আসে হাসপাতাল সুপার ড.সুব্রত মণ্ডলের নীল বাতি লাগানো গাড়ি। যা ঘিরে রীতিমতো ক্ষোভ ছড়ায় আন্দোলনকারীদের মধ্যে।
তাঁদের চাপে শেষ পর্যন্ত গাড়ি ঘুরিয়ে নিতে বাধ্য হন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পর অবশ্য এদিনের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয় বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের নেতৃত্বরা। তবে, সুহৃতা পালের পদত্যাগের দাবিতে আগামিদিনেও তাঁদের আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে বুধবার বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দায়িত্ব পেয়েছিলেন আরজি করের অপসারিত অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল। দায়িত্ব পাওয়ার একদিন পর অর্থাৎ শুক্রবার কাজে যোগ দেন তিনি। তাও আবার চুপিসারে। আর সেদিনই তাঁকে ঘিরে হাসপাতাল চত্বরে চলে বিক্ষোভ-স্লোগান।
তবে শুধু শুক্রবারই নয়! পরেরদিন অর্থাৎ শনিবারও সুহৃতা পালের পদত্যাগের দাবিতে সেখানে জারি থাকে সেই আন্দোলন। টানা দু'দিন নিজের কর্মস্থলেই তাঁকে শুনতে হয় গো-ব্যাক স্লোগান। সেই ঘটনার তিনদিনের মাথায় ফের সুহৃতা পালের অপসারণের দাবিতে গর্জে উঠল বারাসত। এবার পথে নামলেন বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের সদস্যরা। পোস্টার হাতে হাসপাতাল চত্বরে চলল তুমুল বিক্ষোভও। পোস্টারে কোথাও লেখা, "আরজি করের দুর্নীতির অন্যতম পাণ্ডা সুহৃতা পাল দূর হটো।" আবার কোনওটায় লেখা, "বারাসতের নয়া অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে মানছি না মানব না।" বিক্ষোভ-স্লোগানে এদিন কার্যত মুখরিত হয়ে ওঠে হাসপাতাল প্রাঙ্গন। এরপর রোগীর পরিজনদের কথা চিন্তা করে এদিনের মতো আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয় বাম ছাত্র-যুব সংগঠন।
এই বিষয়ে ডিওয়াইএফআইয়ের জেলা নেতা গৌতম ঘোষ বলেন, "সুহৃতা পাল একজন আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত। উনি আরজি কর তাড়া খেয়ে বারাসতে এসেছেন। ওনার মতো মহিলাকে আমরা বারাসত মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হিসেবে মেনে নেব না। সেই কারণে ওনাকে বলছি, আপনি এখান থেকে চলে যান। নইলে ওনাকে কীভাবে এখান থেকে বিতাড়িত করতে হয় সেটা আমরা ভালোভাবেই জানি ।"