শিলিগুড়ি, 3 ডিসেম্বর:বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার ও ভারতবিরোধী চিন্তাভাবনার বিরুদ্ধে সরব দেশ ৷ এরাজ্যেও এই নিয়ে চলছে বিক্ষোভ আন্দোলন ৷ প্রতিবেশী দেশে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ উঠেছে ৷ এপার বাংলায় এবার একই কায়দায় ওপারের সরকারকে পালটা জবাব দিলেন শিলিগুড়ির মানুষ ৷ রাস্তায় সাঁটানো হল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে পোস্টার ৷ উল্লেখ্য, এই ঘটনা দেশবিরোধীদের প্রতি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হলেও একে সমর্থন করে না ইটিভি ভারত ৷
বাংলাদেশে হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে ৷ সম্প্রতি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সনাতনী নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে ৷ তারপর থেকে পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয় ৷ এই নিয়ে সরব হয়েছে দিল্লি ৷ তবে তাতে এতটুকুও না দমে লাগাতার সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার চলছে বলে খবর আসছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ৷
এও খবর আসে যে, বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে প্রবেশপথে ভারতের পতাকা এঁকে রাখা হয়েছে, সেটিকে মাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করছেন ছাত্র ও শিক্ষকরা ৷ এই খবরের সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷ তবে খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পরই এর তীব্র নিন্দা করেন ভারতীয়রা ৷ জাতীয় পতাকার অবমাননায় ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে নাগরিকদের মধ্যে ৷ তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে শিলিগুড়িতে ৷
শিলিগুড়ি উচ্চতর বালক বিদ্যালয়ের প্রবেশপথের সামনের রাস্তায় পরপর সাঁটিয়ে রাখা হয়েছে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসের ছবি দেওয়া পোস্টার ৷ তাতে লেখা রয়েছে, "এই ছবিতে থুতু ফেলুন এবং আমার মুখে জুতো মারুন ৷" এ বিষয়ে স্থানীয়দের বক্তব্য, "সনাতনীদের উপর লাগাতার আক্রমণ হচ্ছে বাংলাদেশে ৷ আমরা মনে প্রাণে সনাতনী ৷ আমাদের জাতীয় পতাকারও অবমাননা করা হয়েছে ৷ তাঁদের সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসের সময়ই এসব হচ্ছে ৷ সেজন্যই আমরা এবার তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার দিয়েছি ৷"
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ির চিকিৎসক শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের খবর আগেই প্রকাশিত হয়েছে ইটিভি ভারতে ৷ তেরঙার অপমান সহ্য করতে না পেরে এই চিকিৎসক তাঁর চেম্বারে ভারতের পতাকা লাগিয়ে রেখেছেন । সঙ্গে দিয়েছেন একটি সামাজিক বার্তা । সেখানে তিনি লিখেছেন, যে সকল রোগী তাঁর কাছে আসবেন, তাঁদের প্রত্যেককে জাতীয় পতাকাকে আগে প্রণাম করতে হবে, তারপরেই ওই রোগীর চিকিৎসা করবেন তিনি । আর যিনি প্রণাম করবেন না, সেই রোগীকে তিনি চিকিৎসা পরিষেবা দিতে নারাজ বলে সাফ জানিয়ে দেন । মূলত বাংলাদেশি রোগীদের জন্যই যে তাঁর এই বার্তা, সেকথাও স্পষ্টভাবে লিখে দেন তিনি ৷