ভাঙড়, 20 এপ্রিল: তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল ৷ দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড় বিধানসভার পোলেরহাট থানার শ্যামনগর এলাকায় এই পোস্টার পড়েছে ৷ পোস্টারে লেখা রয়েছে, ’’ক্যানিং ও জীবনতলা থেকে লোক এনে ভাঙড়ে সন্ত্রাস করে খুনের দায়ে আরাবুল জেলে, সওকত মোল্লা বাইরে কেন ? প্রশাসন জবাব দাও !’’ ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা শাসক দলের হেভিওয়েট নেতা হিসেবে পরিচিত ৷ তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ায় হইচই পড়েছে ওই এলাকায় ৷
এই নিয়ে যথারীতি রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে ৷ কে পোস্টার দিল সেই প্রশ্নও উঠেছে ৷ বিরোধীরা কেউ দিল, নাকি শাসক দলে শওকতের কোনও বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর কাজ এটা, তা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে ৷ কারণ, পোস্টারে কারও নাম না থাকলেও একাধিক ইস্যুতে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে শুধু সওকতকেই ৷
সেখানে আরও লেখা হয়েছে, ‘‘জনগনের প্রকল্পের টাকা চুরি করে নেতা-মন্ত্রীরা সব জেলে কেন ? কয়লা কাণ্ডের অভিযুক্ত শওকত মোল্লা জবাব দাও ।’’ পোস্টারে টানা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ৷ লেখা হয়েছে, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী দ্বারা স্বীকৃত বোমা-গুলির মাস্টারমাইন্ড শওকত মোল্লার এই ভাঙড়ে ঠাঁই নাই ।’’ নির্বাচনী বন্ড নিয়েও সওকতের কাছেই জবাব চাওয়া হয়েছে পোস্টারে ৷ লেখা হয়েছে, ‘‘ইলেক্টোরাল বন্ড দুর্নীতিতে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল শীর্ষে কেন ? শওকত মোল্লা জবাব দাও ।’’
ভাঙড় যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে ৷ এই কেন্দ্রে 2009 থেকে জিতছে তৃণমূল কংগ্রস ৷ সেখানে তৃণমূলের হয়ে সাংসদ হয়েছেন সুগত বসু, কবীর সুমন ও মিমি চক্রবর্তী ৷ এঁরা কী কাজ করেছেন, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে পোস্টারে ৷ এই নিয়ে জবাব চাওয়া হয়েছে শওকত মোল্লা ও এবার যাদবপুরে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়া সায়নী ঘোষের কাছে ৷ আর পোস্টারের একেবারে নিচে লেখা হয়েছে, ‘‘ভাঙড়বাসীর খুনি-সন্ত্রাসবাদী শওকত মোল্লা ভাঙড় থেকে দূর হটো ।’’