মালদা, 8 ফেব্রুয়ারি: মালদা শহরের পঞ্চম শ্রেণির নাবালিকাকে খুনের পূর্ণাঙ্গ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেতেই সামনে এল 'নরবলি' তত্ত্ব ৷ এই প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের একাংশের তরফ থেকেই ৷ যদিও বেশিরভাগ আধিকারিক এখনই এই তত্ত্ব বিশ্বাস করতে রাজি নন ৷ এই পরিস্থিতিতে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটি খুঁজে পেতে মরিয়া জেলা পুলিশ ৷ কিন্তু মূল অভিযুক্ত এখনও পুলিশি তদন্তে অসহযোগিতা করে চলেছে বলে জানা গিয়েছে ৷ সে বিভিন্নভাবে পুলিশকে বিভ্রান্ত করারও চেষ্টা করছে ৷ এই অবস্থায় অস্ত্র উদ্ধারে অন্য পথে হাঁটতে চলেছে মালদা জেলা পুলিশ ৷
বুধবারই কিশোরী খুনের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিশের হাতে এসে পৌঁছেছে ৷ সেই রিপোর্টও অস্বচ্ছ ৷ সেখানে বলা হয়েছে, ভীষণ কোনও ধারালো ও ভারী অস্ত্রের সাহায্যে নাবালিকার ধড় ও মুণ্ডু আলাদা করা হয়েছে ৷ মৃতদেহের মুখ ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ৷ যেখান থেকে মুণ্ডু বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, সেখানকার টিস্যু কিংবা রক্তনালীগুলি সেভাবে ছিঁড়ে যাওয়ার চিহ্ন নেই ৷ অর্থাৎ এক কোপে মুণ্ডু বিচ্ছিন্ন করা হতে পারে ৷ খাবার খাওয়ার চার থেকে ছ'ঘণ্টার মধ্যে কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে ৷ কিন্তু তার সঙ্গে যৌন নির্যাতনের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি ৷
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই পুলিশের একাংশ মনে করছে, যেভাবে রিপোর্টে খুনের কথা বলা হয়েছে, তাতে এই ঘটনার পিছনে 'নরবলি' তত্ত্ব উড়িয়ে দেওয়া যায় না ৷ কিন্তু বোনকে খুনে ধৃত দাদা পুলিশি জেরায় বারবার দাবি করেছে, সে একটি ছুরি গলায় ঠেকিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছিল ৷ অন্ধকারে কিছুতে পা আটকে বোন সেই ছুরির উপর পড়ে যায় ৷ তাতে তার ধড় ও মুণ্ডু আলাদা হয়ে যায় ৷ কিন্তু পুলিশের অনুমান, একটি ছুরির যা ওজন তাতে 11 বছরের একটি দেহের ধড়-মুণ্ডু এভাবে আলাদা হতে পারে না ৷ এই অবস্থায় পুলিশি তদন্তে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ৷