ব্যারাকপুর, 14 জানুয়ারি: বিধায়কের দাপটে দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল দলে তিনি কোনঠাসা ! সেভাবে আর দলের কোনও কর্মসূচিতে তাঁকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় না । প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং শাসকদলে থাকাকালীন বরাবর তাঁর ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি । সেই একদা অর্জুন ঘনিষ্ঠ ভাটপাড়া পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর সোমনাথ তালুকদারের শ্যামনগরের বাড়িতে মঙ্গলবার হঠাৎই হাজির দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ।সেখানে প্রায় আধ ঘণ্টা ছিলেন তিনি ।
সূত্রের খবর, এই সময়ে সোমনাথের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে শাসকদলের এই শীর্ষ নেতার । পরে, সোমনাথের বাড়িতে সুব্রত বক্সির আসার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিকও । তাহলে কি নিষ্ক্রিয় নেতাকে সক্রিয় করতেই দলের রাজ্য সভাপতির এই তৎপরতা ? শুরু হয়েছে জোর চর্চা । যদিও এনিয়ে কোনও পক্ষই মুখ খুলতে চাননি ।
জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম ও ভাটপাড়া পুরসভার কাউন্সিলর সোমনাথ তালুকদারের দ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত । তৃণমূলের রাজনীতিতে বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম সাংসদ পার্থ ভৌমিকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ । আবার কাউন্সিলর সোমনাথ তালুকদার ছিলেন একসময়ে অর্জুন সিংয়ের কাছের লোক । এই নিয়ে দুই সোমনাথের মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকত শাসক শিবিরে । দুই নেতার দ্বন্দ্ব ঘিরে সেই সময় দলে গোষ্ঠীবাজিও চরমে উঠেছিল । তৃণমূল দলে থাকাকালীন অর্জুন সিং বরাবর সোমনাথ তালুকদারের হয়ে গলা ফাটাতেন । নিশানা করতেন একদা তাঁর চির প্রতিদ্বন্দ্বী বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে ।তাতে ঘৃতাহুতি দিতেন সোমনাথ তালুকদারও । পালটা সোমনাথ শ্যামও ছেড়ে কথা বলতেন না অর্জুন এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতা সোমনাথ তালুকদারকে ।