পিয়ালির বাড়িতে নোটিশ সাঁটাল পুলিশ (নিজস্ব) সন্দেশখালি, 9 মে: তাঁর বিরুদ্ধে সন্দেশখালির মহিলাকে দিয়ে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করানোর অভিযোগ উঠেছিল! তার জেরে অভিযোগকারিনী মহিলা সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলায় তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও উঠেছিল রেখা পাত্রের ছায়াসঙ্গী পিয়ালি দাসের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর পিয়ালি ওরফে মাম্পির বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই মহিলা। অভিযোগ দায়েরের সেই ঘটনায় এবার পিয়ালি দাসের বাড়িতে নোটিশ দিল সন্দেশখালি থানা। পিয়ালিকে না-পেয়ে তাঁর মা'কে পুলিশের তরফে বলে আসা হয়েছে, তিনি যেন তিনদিনের মধ্যে থানায় গিয়ে দেখা করে।
বুধবার সন্দেশখালির প্রতিবাদী এক মহিলার নতুন ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ধর্ষণের অভিযোগ না-থাকা সত্ত্বেও সাদা কাগজে সই করিয়ে ধর্ষণের 'মিথ্যা' অভিযোগ করা হয়েছে তাঁর নামে। জাতীয় মহিলা কমিশনের সামনেই এই ঘটনা ঘটলেও তিনি এবিষয়ে কিছুই জানেন না বলে ভিডিয়োতে দাবি করেছেন। তাঁর আরও অভিযোগ ছিল, রান্নার কাজের নায্য টাকা না-পাওয়া, স্বামীর 100 দিনের জব কার্ডের টাকা বকেয়া থাকা, এগুলো নিয়েই তিনি জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই অভিযোগ বদলে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের 'মিথ্যা' অভিযোগের রূপ দেওয়া হয়েছে।
গোটা পরিকল্পনার পিছনে সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী পিয়ালি ওরফে মাম্পি দাস রয়েছেন বলে দাবি করেছেন ওই মহিলা। সাতদিন পর বিষয়টি জানতে পারেন তিনি। তখন তাঁর সঙ্গে পিয়ালি খারাপ ব্যবহার করেন বলে বুধবারই সংবাদ মাধ্যমের সামনে অভিযোগ করেছিলেন অভিযোগকারিনী। এরপর থেকেই পিয়ালি নানাভাবে তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ ৷
যদিও, এনিয়ে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে মহিলার বিরুদ্ধে 20 লক্ষ টাকার মানহানির মামলা রুজু করার হুঁশিয়ারি দেন অভিযুক্ত পিয়ালি। তারই মধ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে বুধবার রাতে ওই বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা।
এদিকে, এই অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে পিয়ালি দাসের সন্দেশখালির মাঝেরপাড়ার বাড়িতে যায় পুলিশ। পুলিশ তাঁকে না-পেয়ে পিয়ালির মায়ের সঙ্গে কথা বলে। তাঁকে নোটিশে সই করার কথা বলা হলেও তাতে কিন্তু আমল দেননি পিয়ালির মা অনিমা দাস। শেষ পর্যন্ত বাড়ির সামনের দেওয়ালে নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়ে ফিরে আসে পুলিশ। পিয়ালিকে সন্দেশখালি থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার বারাসতে রেখা পাত্রের মনোনয়নে সঙ্গী হন তাঁরই ঘনিষ্ঠ পিয়ালি দাস। সেখানে এই অভিযোগ প্রসঙ্গে পিয়ালিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি 'নো কমেন্ট' বলে এড়িয়ে যান।
আরও পড়ুন:
- রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য নয়, জনস্বার্থ মামলার অনুমতি প্রধান বিচারপতির
- রাষ্ট্রপতির কাছে সন্দেশখালির মুখেরা বাদ কেন ? প্রশ্ন রেখার; শমীক বললেন, প্রার্থী নতুন