কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি: হিসেব নেই পাঁচ হাজার টাকার। আরজি কর আন্দোলনে জুনিয়র চিকিৎসকদের তহবিলে এই টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন বলে দাবি রাজু সাহা নামে এক ব্যক্তির। তিনি কোনও রশিদ পাননি। রশিদ না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। অভিযোগের ভিত্তিতে অনিকেত মাহাতো-সহ কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ ! সেই মতো ভার্চুয়াল মাধ্যমে তদন্তকারীদের প্রশ্নের জবাব দিলেন অনিকেত।
বিধাননগর পুলিশের তরফে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ গিয়েছিল সাত আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকের কাছে ৷ তাঁদের ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয় ৷ সেই মতো শনিবার জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো ভার্চুয়ালি পুলিশের মুখোমুখি হন ৷ তবে বাকি ছ'জন জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হননি বলে পুলিশ জানিয়েছে ৷
এই প্রসঙ্গে অনিকেত বলেন, "আমাদের অডিট চলছে ৷ সমস্ত হিসেব আমাদের কাছে রয়েছে ৷ প্রথমে আসফাকুল্লা নাইয়া, তারপর কিঞ্জল নন্দ, এখন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়ার ডক্টর্স ফ্রন্টের আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নোটিশ দেওয়া হল ৷ দিনের আলোর মতো পরিষ্কার, এই আন্দোলন যে নৈতিকতার জন্ম দিয়েছে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছে, সেই ধারাকে আটকে দিতে বারবার এরকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে ৷" অডিট থেকে যে তথ্য উঠে আসবে তা জনসমক্ষে নিয়ে আসা হবে বলেও জানিয়েছেন অনিকেত ৷
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন আগে এই একই অভিযোগ তুলেছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়ার ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন ৷ তাদের তরফেও আন্দোলনকারী জুনিয়ার চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে টাকা তছরূপের অভিযোগ করা হয়েছিল ৷ সেই সময়ও ফ্রন্টের তরফে দাবি করা হয়েছিল, অডিট প্রক্রিয়া চলছে ৷ শুধু টাকা তছরুপ নয়, আসফাকুল্লা নাইয়া এবং পরবর্তীকালে কিঞ্জল নন্দকে চিঠি দিয়েছিল মেডিক্যাল কাউন্সিল ৷ সেখানে নাইয়ার বিরুদ্ধে ভুয়ো ডিগ্রি ব্যবহারের অভিযোগ ছিল ৷ অপরদিকে কিঞ্জল নন্দ কীভাবে চিকিৎসার পাশাপশি সিনেমার কাজে যুক্ত থাকতে পারেন সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল ৷ এবার পাঁচ হাজার টাকা কোথায় গেল তা নিয়ে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ সামলালেন অনিকেত।