মালদা, 24 অগস্ট: ফের মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে রক্ত বিক্রির অভিযোগ ৷ হাতেনাতে অভিযুক্ত বিক্রেতা ও ক্রেতাকে ধরলেন ব্লাড ব্যাংকের কর্মীরা ৷ যেখানে এক ইউনিট রক্তের দাম 3 হাজার টাকা ৷ অভিযুক্ত দু'জনকেই ইংরেজবাজার থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ তিনদিন আগেই রক্ত বিক্রি করতে এসে মালদা মেডিক্যাল কলেজে হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন দুই যুবক ৷ শুক্রবার ফের রক্ত বিক্রির চক্র ফাঁস করলেন ব্লাড ব্যাংকের কর্মীরা ৷
এক ইউনিট রক্তের দাম 3 হাজার টাকা, রক্ত বিক্রি করতে এসে হাতেনাতে ধৃত 2 অভিযুক্ত - Blood Selling Racket in Malda
Blood Selling Racket Caught in Malda Medical College: মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রক্ত বিক্রি করতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়ল এক ব্যক্তি ৷ সঙ্গে যে ব্যক্তি রক্ত কিনছিলেন, তাঁকেও আটক করা হয়েছে ৷ ঘটনায় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷
Published : Aug 24, 2024, 2:45 PM IST
অভিযোগ, রক্ত দিতে আসা যুবককে দেখেই সন্দেহ হয় ব্লাড ব্যাংকের কর্মীদের ৷ সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে প্রশ্ন করেন ব্লাড ব্যাংকের কর্মীরা ৷ কিন্তু, জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক উত্তর না-মেলায় রক্তদাতা ও সেই রক্ত নিতে আসা দু’জনকেই আটকে রেখে ইংরেজবাজার থানায় খবর দেওয়া হয় ৷ পুলিশ মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পৌঁছে দু’জনকে আটক করে ৷ পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে রক্ত নিতে আসা ব্যক্তি জানিয়েছেন, এক ইউনিট রক্তের জন্য তাঁর থেকে তিন হাজার টাকা চাওয়া হয়েছিল ৷ রক্ত বিক্রি করতে আসা ব্যক্তি নিজের নাম-পরিচয় জানাতে রাজি না হলেও, তিনি নিজেকে কালিয়াচকের বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন ৷
এরসাদ আলি নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, "ওই ব্যক্তি আমার আগেই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল ৷ ও রক্ত দিতে যাওয়ার পরেই ব্লাড ব্যাংকের কর্মীদের সন্দেহ হয় ৷ এরপরেই দু'জনকে আটক করে থানায় খবর দেওয়া হয়েছিল ৷ পুলিশ এসে দু’জনকে থানায় নিয়ে গিয়েছে ৷" ঘটনা প্রসঙ্গে মালদা মেডিক্যালের অধ্যক্ষ চিকিৎসক পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, "ব্লাড ব্যাংকের ইনচার্জের থেকে বিষয়টি জানতে পারলাম ৷ দু’জনকেই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ নিজেকে রোগীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ধৃত ব্যক্তি রক্ত বিক্রি করতে এসেছিলেন ৷" পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রক্ত বিক্রি করতে আসা ধৃত ব্যক্তির নাম মিনারুল হক ৷ তাঁর বাড়ি কালিয়াচকের বাহাদুরপুর এলাকায় ৷