পূর্ব বর্ধমান/শিলিগুড়ি, 10 অক্টোবর: আরজি কর-কাণ্ডের দু’মাস পূরণ হয়েছে ৷ তাই উৎসবের আবহেও বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ জারি রয়েছে ৷ তা সে দক্ষিণবঙ্গ হোক বা উত্তরবঙ্গ ৷ মহাষষ্ঠীর রাতে পূর্ব বর্ধমানের কার্জনগেট এলাকায় 'অন্ধকারের উৎশবে' সামিল হলেন একাংশ নাগরিক ৷ তাঁদের বার্তা, পুজোর সময় অনেকেই উৎসবে সামিল হয়েছেন ৷ কিন্তু, এটাও বাস্তব আরজি কর-কাণ্ডের দু’মাস পেরিয়ে গেলেও, প্রকৃত অর্থে সুবিচার এখনও হয়নি ৷
মহাষষ্ঠীর সন্ধেয় পূর্ব বর্ধমানের ঘোড় দৌড় চটি থেকে কার্জনগেট পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলেন হাঁটলেন বহু মানুষ ৷ বার্তা দিলেন, উৎসবের মধ্যেও চলবে প্রতিবাদ ৷ সুবিচারের দাবিতে সকলকে সমবেতভাবে এগিয়ে আসার কথাও বললেন তাঁরা ৷ 'অন্ধকারের উৎশব' লেখা ব্যানার নিয়ে মিছিল করল বর্ধমান শহরের বেশকিছু সংগঠন ও নাগরিক সমাজ ৷
মহাষষ্ঠীর সন্ধ্যায় আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৷ (ইটিভি ভারত ৷) প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হওয়া জয়তী ভট্টাচার্য বলেন, "60 দিন হল আরজি করের চিকিৎসক-পড়ুয়ার চলে যাওয়ার ৷ এই সময়ে পুজো চলছে ঠিকই ৷ কিন্তু, আমরা ষষ্ঠী বলে ভাবতে পারছি না ৷ আমাদের শুধু এটাই মনে হচ্ছে, দু’মাস হয়ে গেল ৷ কিন্তু, বিচারের কোনও অগ্রগতি হল না ৷ সিবিআই একজনের নামে চার্জশিট দিয়েছে ৷ কিন্তু, আমরা হতাশ ৷ বিচারের দাবিতে সাতজন তরুণ-তরুণী কলকাতার রাজপথে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ৷ তাই সব কিছুর প্রতিবাদে আমাদের রাস্তায় নামা ৷"
বর্ধমানের কার্জনগেটে নাগরিক মিছিল ৷ (নিজস্ব চিত্র) একইভাবে আরজি কর ও জয়গনগরের ঘটনার প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে 15টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ডাকে মহামিছিল বের করা হয় মহাষষ্ঠীতে ৷ যে মিছিলে সাধারণ মানুষও পা-মিলিয়েছে ৷ শিলিগুড়ির মহাত্মা গান্ধি চক থেকে মিছিল শুরু হয় ৷ এরপর হিলকার্ট রোড ধরে হাসমিচক হয়ে বাঘাযতীন পার্কে মিছিল শেষ হয় ৷
শিলিগুড়িতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও নাগরিক সমাজে প্রতিবাদ মিছিল ৷ (নিজস্ব চিত্র) নাগরিক সমাজের সদস্য অভিজিৎ মজুমদার বলেন, "এভাবে বেশি দিন চলতে পারে না ৷ সময়ের পর সময় কেটে যাচ্ছে ৷ কিন্তু, কোনও বিচার মিলছে না ৷ আর জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন করছেন ৷ তাঁদের এই দাবিকে মাথায় রেখে আন্দোলন ৷ আমরা চাই দ্রুত নির্যাতিতা বিচার পাক ও জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মানা হোক ৷"