পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

48 ঘণ্টার মধ্যে জোড়াবাগান খুনের কিনারা পুলিশের, গ্রেফতার নাবালক

জোড়াবাগানে এলআইসি এজেন্ট প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে নাবালককে ৷ তার মায়ের সঙ্গে নিহতের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল বলে উঠে এসেছে তদন্তে ৷

jorabagan murder case
জোড়াবাগান খুনের ঘটনায় গ্রেফতার নাবালক (নিজস্ব ছবি)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 5 hours ago

কলকাতা, 2 নভেম্বর: 48 ঘণ্টার মধ্যে জোড়াবাগানে এলআইসি এজেন্ট খুনের কিনারা করে ফেলল কলকাতা পুলিশ । এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জোড়াবাগান থানার পুলিশ নদিয়া থেকে এক নাবালককে গ্রেফতার করেছে । কলকাতা পুলিশের ডিসি (উত্তর) দীপক সরকার এমনটাই জানিয়েছেন । লুট হওয়া গয়না ও নিহত প্রৌঢ়ের মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ । তদন্তে উঠে এসেছে যে ধৃতের মায়ের সঙ্গে নিহত প্রৌঢ়ের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল ৷

কালীপুজোর দিন জোড়াবাগানে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল এলআইসি এজেন্ট অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেহ । প্রৌঢ়়েকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা । দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হলে পুলিশ এক প্রকার নিশ্চিত হয় যে এটি খুনের ঘটনা । এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে স্থানীয় জোড়াবাগান থানার পুলিশ ৷

লালাবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে নেমে পুলিশ অনুমান করে যে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল এমন কোনও ব্যক্তি এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে । এরপরেই পুলিশ বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ যোগাড় করে জানতে পারে, নদিয়ার এক মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল প্রৌঢ়ের । ওই মহিলার একটি ছেলে রয়েছে । ওই মহিলা এবং তাঁর নাবালক ছেলে মাঝে মধ্যেই জোড়াবাগানে অভিজিতের বাড়িতে আসতেন ।

কিন্তু ঘটনার পর থেকে রহস্যজনকভাবে অভিজিতের ব্যবহার করা একটি মোবাইল ফোন নিখোঁজ ছিল । টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পারে, নদিয়ায় কেউ ব্যবহার করছে ফোনটি । ফোনের লোকেশন ধরে নদিয়া থেকে নাবালককে আটক করে কলকাতায় নিয়ে আসে পুলিশ । দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় নাবালককে ৷ পরে তাকে গ্রেফতার করা হয় ৷ নাবালককে জুভিনিয়াল জাস্টিসে পাঠাব পুলিশ ৷

পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে নাবালক জানায় যে তার মায়ের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল নিহত এলআইসি এজেন্টের । অভিজিতের ফোনে ওই নাবালক এবং তার মায়ের বেশ কিছু ছবিও ছিল । বেশ কিছুদিন আগে কলকাতায় ওই নাবালক এসে অভিজিতের থেকে বেশ মোটা অংকের টাকা দাবি করে । তবে সেই টাকা না-মেটানোয় অভিজিতের মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে বারবার আঘাত করে তাঁকে হত্যা করে ৷ এরপর এলআইসি এজেন্টের ফোনটি নিয়ে সে নদিয়ায় তার বাড়িতে চলে যায় ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details