হিলি, 7 অগস্ট: দক্ষিণ দিনাজপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পরিস্থিতি আপাত শান্ত। হিলি সীমান্তে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের নাগরিকদের পারাপার চলছে। পাশাপাশি হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি বাণিজ্য প্রায় স্বাভাবিক রয়েছে।
হিলি সীমান্তে স্বাভাবিক বাণিজ্য (ইটিভি ভারত) তবে বাংলাদেশে ভালো নেই হিন্দুরা। বাংলাদেশ থেকে আসা এক মহিলার বক্তব্য বাংলাদেশের পরিস্থিতি প্রচন্ড উত্তেজনাপূর্ণ। হিন্দু মেয়েরা বাড়ি থেকে বেড়তে পাড়ছে না, একপ্রকার গৃহবন্দী হয়ে জীবন যাপন করছে তারা। আজ বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরে আসা মহিলা আরতি চৌধুরী জানালেন, বাংলাদেশে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ৷ সেখানে শান্তিতে না থাকতে পেরে ভারতে ফিরে আসলেন ৷ তিনি বলেন, "বাংলাদেশের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সেখানে হিন্দুদের বাড়িঘর দোকানপাট ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। হাসুয়া, লাঠি, অস্ত্র নিয়ে রাস্তাঘাটে চলতি মানুষদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। হিন্দু মেয়েরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। গাড়ি চলছে না আজ ভোর পাঁচটায় টোটো ধরে সীমান্তে আসি। ভারতে এসে তবে স্বস্তি পেলাম।"
অপরদিকে, টাটা প্রজেক্ট লিমিটেড-এর 19 জন কর্মী এদিন বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরে আসে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের নিরাপত্তা দিয়ে হিলি সীমান্তে পৌঁছে দিয়ে যায় বলেও তারা জানায়। পশ্চিমবঙ্গের ব্যান্ডেলের বাসিন্দা টাটার কর্মী কৌশিক কর্মকার বলেন, "বাংলাদেশে সরকারি প্রজেক্টের একটি লাইন করতে আমরা টাটার পক্ষ থেকে কাজে যাই দু'মাস ধরে কাজ করছি। কাজ প্রায় শেষের দিকেই কিন্তু গত কয়দিন বাংলাদেশের ভয়াবহ যে পরিস্থিতি দেখেছি তাতে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। আতঙ্কে আমরা পাঁচ সাত জন একই ঘরের মধ্যে ঢুকে থাকতাম। মাঝখানে দু'দিন নেট অফ করে দেওয়ায় আরও সমস্যায় ছিলাম।"
আরও বলেন, "বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া এলাকায় আমাদের চোখের সামনে দোকানপাট ভেঙে মালপত্র লুট করা হয়েছে, ট্রাক দাড় করিয়ে ট্রাকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া, জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়া দূর থেকে দেখেছি। আতঙ্কে আমরা ঘুমাতে পারিনি। তবে টাটার তরফ থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর তারা আমাদের সেনা নিরাপত্তা দিয়ে সীমান্তে পাঠায়। এপারে এসে এখন স্বস্তি লাগছে ৷"
তবে হিলি সীমান্ত দিয়ে রফতানি বাণিজ্য প্রায় স্বাভাবিক রয়েছে। এদিন, ভারত থেকে বাংলাদেশে কাঁচামাল জাতীয় পণ্য রফতানি চলছে বলে জানান হিলি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সুদীপ্ত কুমার মণ্ডল।