শিলিগুড়ি, 14 ফেব্রুয়ারি: বহু প্রতিক্ষার পর বেঙ্গল সাফারি পার্কে এসেছে সিংহ দম্পতি আকবর ও সীতা। এবার এরাজ্যে প্রবেশ করতেই নাম বদল হতে চলেছে ত্রিপুরা থেকে আসা সিংহ দম্পত্তির। আসলে, কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যানিমেল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের অধীনে ত্রিপুরা থেকে বেশ কয়েকটি প্রাণী শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে আনার অনুমোদন পায় রাজ্য জু অথরিটি। তার ভিত্তিতে সোমবারই রাজ্যে এসে পৌঁছয় সিংহ দম্পতি, চশমা বাঁদর, ব্ল্যাক বাক ডিয়ার ও লেপার্ড ক্যাট।
কিন্তু বিতর্ক দেখা দিয়েছে সিংহ দম্পতির নাম নিয়ে ৷ বেঙ্গল সাফারিতে পোঁছতেই সিংহ দম্পতির নাম নিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিরোধীতা করে। প্রজননের আগেই এদের নাম পরিবর্তনের দাবিও জানিয়েছে তারা ৷ এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, "যখন এক চিড়িয়াখানা থেকে কোনও প্রাণী অন্য চিড়িয়াখানায় যায় তার নাম বলে কিছু থাকে না। এক্ষেত্রেও ত্রিপুরা থেকে আসা ওই সিংহ দম্পতি এখন বেনাম। তাই তাদের নামকরণের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবেদন করা হবে। আর এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যেটা শুধু এরাজ্যে নয়। সমস্ত চিড়িয়াখানার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এটা নিয়ে অযথা বিভ্রান্তি ছড়ানো দুর্ভাগ্যজনক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে যাতে ত্রিপুরা থেকে আসা সিংহ দম্পত্তির তিনি নামকরণ করেন।"
বেঙ্গল সাফারি পার্ক থেকেও ত্রিপুরার সিপাহিজালা জুয়োলজিক্যাল পার্কে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার-সহ একাধিক প্রাণী বিনিময়ের অনুমোদন আসে। সেইমতো দুই চিড়িয়াখানায় প্রাণী আদান-প্রদানও হয়। বেঙ্গল সাফারি পার্ক থেকে তেজল ও শেরা নামে শিলার দুই শাবককে পাঠানো হয়। অন্যদিকে, ত্রিপুরার চিড়িয়াখানা থেকে সোমবার এসে পৌঁছয় আকবর ও সীতা নামে এক সিংহ দম্পতি। আর তাতেই শুরু হয় বিস্তর জলঘোলা। এরাজ্যের সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতর। কিন্তু বাস্তবে ঘটনা সম্পূর্ণ আলাদা।