কলকাতা, 27 এপ্রিল: বেলা বাড়লেই রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ৷ চাঁদিফাটা রোদ, দরদর করে ঘামে নাজেহাল মহানগরের নাগরিকরা ৷ গরমের তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই কলকাতা পৌরনিগমে হয়ে গেল আসন্ন বর্ষার মরশুমে শহর সচল রাখার প্রস্তুতি বৈঠক ৷ কলকাতা পৌরনিগমের অধিবেশন কক্ষে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে পারিষদ, পুলিশ, দমকল-সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকের নিয়ে এই বৈঠক হয় ৷
শুক্রবারের এই বৈঠকে সমস্ত বরোর চেয়ারম্যান, পৌর কমিশনার, পৌর সচিব থেকে কলকাতা পুলিশ, আবহাওয়া দফতরের কর্তা, সিইএসসি কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিল ৷ সূত্রে খবর, বৈঠকের আলোচনার মূল বিষয় ছিল কলকাতার জমা জল ৷ বর্ষায় যাতে কলকাতা শহরে জমা জলের ছবি আর না ফেরে, সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ বর্তমান পৌর বোর্ডের কাছে ৷
তাই কলকাতার কোন কোন রাস্তায় বা গলি জলমগ্ন অবস্থায় আছে, কলকাতা পুলিশের কাছে নিয়মিত সেই নিয়ে রিপোর্ট দেওয়ার আবেদন করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷ পাশাপাশি তিনি, কলকাতা এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্রুভমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রজেক্ট বা কেইআইআইপি-র বেশ কিছু কাজ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন ৷
কলকাতা জুড়ে থাকা বিভিন্ন খালগুলি কী অবস্থায় আছে ? সেই সম্পর্কেও সেচ দফতরের আধিকারিকদের থেকে তথ্য চেয়েছেন ফিরহাদ হাকিম ৷ বেহালা এলাকার বেশ কিছু জায়গায় কেইআইআইপি প্রকল্পের কাজ থমকে রয়েছে ৷ যা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন মেয়র ৷ তিনি জানান, গতবছর পুজোর পরেই কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তারপরেও এখনও পর্যন্ত একই অবস্থায় রয়েছে সেই কাজগুলি ৷ এ নিয়ে ফিরহাদ বলেন, "হয় কাজ করুন, তা না হলে কোম্পানিকে বদলে দেওয়া হোক ৷"
চিংড়িঘাটা থেকে বেলেঘাটা, উল্টোডাঙা, মানিকতলা হয়ে শ্যামবাজার পর্যন্ত যে বেলেঘাটা সার্কুলার ক্যানেল আছে, তার সংস্কারের কাজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে শুক্রবারের বৈঠকে ৷ সেখানে আলোচনার মধ্যে দিয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, চলতি মাসেই 28-29 এপ্রিল এই দুই দিন খালের দু’টি অংশে সেচ দফতর, কলকাতা পুলিশ ও সিইএসসি-কে নিয়ে যৌথ পরিদর্শন করবে কলকাতা পৌরনিগম ৷
আরও পড়ুন:
- পুরনো বাড়ি ভেঙে বহুতল তুলতে নয়া নিয়ম, না-মানলে কড়া পদক্ষেপ
- গার্ডেনরিচকাণ্ডের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে 14 দিন সময় চাইল তদন্ত কমিটি
- বাড়ছে শঙ্কা ! বেআইনি বাড়ি-ফ্ল্যাটের করদাতাদের জন্য কর্পোরেশনের নয়া নির্দেশিকা