জলপাইগুড়ি, 10 ডিসেম্বর: প্রায় পাঁচমাস পর ঢাকা থেকে জলপাইগুড়িতে ফিরল মিতালী এক্সপ্রেস ৷ সোমবার ভারত ও বাংলাদেশের বিদেশসচিবদের বৈঠক হওয়ার পরেই দেশে ফিরল এই ট্রেন ৷ জুলাই মাস থেকে বাংলাদেশে তৈরি হওয়া অস্থির পরিস্থিতির জেরে ঢাকায় আটকে পড়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলা এই ট্রেনটি ৷ তবে, দুই দেশের মধ্যে এই ট্রেনের পরিষেবা ফের কবে শুরু হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে ৷
13132 নিউ জলপাইগুড়ি-ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত চলা মিতালী এক্সপ্রেস গত 17 জুলাই রওনা দিয়েছিল ৷ কিন্তু, বাংলাদেশে তৎকালীন হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জেরে সেখানেই আটকে যায় ট্রেনটি ৷ কীভাবে মিতালী এক্সপ্রেসকে দেশে ফেরানো হবে, তা নিয়ে সন্দিহান ছিল রেলমন্ত্রক ৷ অবশেষে, সেই সমস্যার সমাধান সূত্র বের করে দেশে ফেরানো হল ট্রেন ৷
বিদেশসচিব পর্যায়ে বৈঠকের পর 5 মাস পেরিয়ে ফিরল মিতালী এক্সপ্রেস ৷ (ইটিভি ভারত) উল্লেখ্য, 1965 সালের পর, 2022 সালের 1 জুন হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুটে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মিতালী এক্সপ্রেস ফের শুরু হয়েছিল ৷ কিন্তু, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভারত বিরোধিতার আবহে ফের এই ট্রেন কবে চলবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে ৷
মঙ্গলবার সকালে ভারত-বাংলাদেশের চিলাহাটি-হলদিবাড়ি সীমান্ত দিয়ে মিতালী এক্সপ্রেস ভারতে ঢোকে ৷ প্রসঙ্গত, সোমবারই বাংলাদেশের বিদেশসচিব এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি ৷ সেই বৈঠকের পরেই আজ ভারতে কড়া নিরাপত্তায় ভারতে ফিরিয়ে আনা হল মিতালী এক্সপ্রেস ৷ বাংলাদেশ রেলওয়ের ইঞ্জিন ভারতের মিতালী এক্সপ্রেসের বগিগুলি হলদিবাড়ি স্টেশনে পৌঁছে চিলাহাটিতে ফিরে যায় ৷
হলদিবাড়ি স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সত্যজিৎ তিওয়ারি বলেন, "বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির কারণে মিতালী এক্সপ্রেস বাংলাদেশে আটকে ছিল ৷ আজ সকালে মিতালী এক্সপ্রেসের খালি বগিগুলি ফিরেছে ৷ এ দিন বাংলাদেশ রেলওয়ের তরফে ইঞ্জিন এসে মিতালী এক্সপ্রেসের খালি রেক হলদিবাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে যায় ৷"
2020 সালের 17 ডিসেম্বর ভারত ও বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রী হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেলপথে মালগাড়ি দিয়ে রেল চলাচলের সূচনা করেছিলেন ৷ পরবর্তী সময়ে সেই রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন শুরু হয় ৷ নিউ জলপাইগুড়ি থেকে প্রতি রবি ও বুধবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিত মিতালী এক্সপ্রেস ৷ ঢাকা থেকে সোমবার ও বৃহস্পতিবার নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে ফেরার জন্য রওনা দিত ট্রেনটি ৷ 4টি এসি বার্থ, 4টি এসি চেয়ারকার ও ব্রেক ভ্যান-সহ দু’টি পাওয়ার কার রয়েছে এই ট্রেনে ৷