পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

ডিম উৎপাদনে এখন স্বনির্ভর বাংলা, বিধানসভায় জানালেন মন্ত্রী; দাম কমবে ?

ডিম উৎপাদনে এখন স্বনির্ভর হয়ে উঠেছে বাংলা ৷ বিধানসভায় একথা জানালেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ৷ তবু কেন দাম কমছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা৷

ETV BHARAT
ডিম উৎপাদনে এখন স্বনির্ভর বাংলা (নিজস্ব চিত্র)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 4, 2024, 7:34 PM IST

কলকাতা, 4 ডিসেম্বর:শীতের শহরে এই মুহূর্তে ডিমের দাম বেশ চড়া । পাইকারি ও খুচরো বাজারে ডিমের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের চিন্তার অন্ত নেই । আর এসবের মধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়ে দিলেন, এই মুহূর্তে ডিম উৎপাদনে আত্মনির্ভর হয়ে উঠেছে বাংলা । ফলে ডিমের দাম এবার অন্তত কমবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে ৷

প্রাণিসম্পদ বিকাশ মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বছরে রাজ্যের মানুষের খাওয়ার বা অন্যান্য প্রয়োজনের জন্য ডিম লাগে 1528 কোটি । কেক থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক বহু শিল্পেও ডিমের চাহিদা রয়েছে । মোটের উপর এই চাহিদা সবটা মিলিয়েই । মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রাজ্যে উৎপাদিত ডিমের পরিমাণ 1581 কোটি । খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের চাহিদার তুলনায় রাজ্যের উৎপাদন বেশি । সেই জায়গা থেকেই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বিধানসভায় জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ডিম উৎপাদনে আত্মনির্ভর বাংলা ।

রাজ্য বিধানসভায় তিনি যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন সেই তথ্য অনুসারে, গত বছর পর্যন্তও রাজ্যকে অন্য রাজ্য থেকে ডিম আনতে হত । 2022-23 অর্থবর্ষে ভিন রাজ্য থেকে 64 কোটি 60 লক্ষ ডিম আনা হয়েছিল । কারণ ওই বছর রাজ্যের নিজস্ব উৎপাদন ছিল 1,375 কোটি । তবে যেহেতু রাজ্যের চাহিদার তুলনায় এ বছর বেশি ডিম উৎপাদিত হয়েছে, সে ক্ষেত্রে অন্য রাজ্য থেকে ডিম আমদানির প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন না তিনি । আর সেই জায়গা থেকেই প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যে যখন ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী, তাহলে অন্য রাজ্য থেকে আসা ডিমের দাম বেশি এ কথা বলার অবকাশ আর থাকছে না । তাহলে কেন ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না, প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা ।

বিধানসভায় মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ আরও জানিয়েছেন, প্রাণী সংক্রান্ত চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যে টোল ফ্রি নম্বরে চালু হয়েছে । এখন 18003455573 বা 1962 নম্বরে ফোন করেই বাড়িতে থাকা পোষ্য বা গৃহপালিত পশুর চিকিৎসার জন্য সাহায্য মেলে । এই পরিষেবা 24 ঘণ্টা সাধারণ মানুষকে দেওয়ার জন্য সল্টলেকে প্রাণিসম্পদ ভবন থেকে কল সেন্টার চালু রয়েছে । সেখানে সাতজন টেলি কলার ছাড়াও দু’জন প্রাণী চিকিৎসক দায়িত্বে থাকেন । এছাড়াও প্রত্যন্ত এলাকায় গৃহপালিত পশুর বা পোষ্যদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সারা রাজ্যে ভ্রাম্যমাণ প্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্র চালু আছে । কল সেন্টারে যদি এ ধরনের সাহায্য চেয়ে ফোন আসে, সেখান থেকেই প্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়া হয় ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details