আলিপুরদুয়ার, 19 জুন: তিনমাসের জন্য জঙ্গল বন্ধ । হলং বাংলোতে কোনও পর্যটক ছিল না । তাহলে শর্ট সার্কিট হল কী করে ! এসি বার্স্ট হল কী করে ! বুধবার এই প্রশ্ন তুললেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোজ টিজ্ঞা । তাঁর আরও প্রশ্ন, রাতে কী কোনও বনাধিকারিক বা কোনও নেতার অতিথি ছিলেন সেই বাংলোতে ? তাঁদের জন্যই কী আলো জ্বালানো হয়েছিল ? গোটা বিষয়ে 'ডালমে মে কুছ কালা' দেখছেন বিজেপি সাংসদ ৷
আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোজ টিজ্ঞা অভিযোগ করে বলেন, 16 জুন থেকে সবক'টি জঙ্গলে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । বন্ধ হলং বাংলোও। বন দফতরের কথা অনুযায়ী হলং বাংলোতে কোনও পর্যটক ছিল না । তাহলে এসি মেশিন থেকে বিস্ফোরণ হল কী করে ? তিনি বলেন, "ডাল মে কুছ কালা হ্যায় । যেখানে বাংলোতে কেউ নেই, ফলে বাংলো বন্ধ থাকার কথা ৷ তাহলে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট কীভাবে হল সেটাই বড় প্রশ্ন ৷"
মনোজ টিজ্ঞা আরও বলেন, ঐতিহ্যাবাহী হলং বাংলোতে আগুন লাগার ঘটনাকে হালকা ভাবে নিলে চলবে না । এর মধ্যে কোনও রহস্য রয়েছে । এর সঠিক তদন্ত হওয়া দরকার । আশা করি, রাজ্য সরকার সঠিক ভাবে তদন্ত করাবেন । হলং আমাদের উত্তরবঙ্গের একটা গর্বের বাংলো ছিল । এক নিমেষের মধ্যেই তা শেষ হয়ে গেল । দমকল কেন সময় মতো গেল না সেটাই প্রশ্ন ।"
এদিকে, উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণী) ভাস্কর জেভি বলেন, "শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার পরেই এসি বার্স্ট করেছে । কেন এটা হল সেটা তদন্তসাপেক্ষ । আমরা তদন্ত শুরু করেছি । সব কিছুই তদন্তের মধ্যে আছে । কোনও গাফিলতি ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে ।"
উল্লেখ্য, গতকাল রাত ন'টা নাগাদ আলিপুরদুয়ারের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের হলং বনবাংলোতে আগুন লাগে । ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় উত্তরবঙ্গের বন দফতরের ঐতিহ্যবাহী বনবাংলোটি । পর্যটক থেকে শুরু করে পর্যটন ব্যবসায়ীরা মর্মাহত হয়ে পড়েন । এমন পরিস্থিতিতে আগুন লাগার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে । এই ভাবেই কয়েক বছর আগে শর্ট সার্কিটের ফলে লাটাগুড়ির পিডব্লিউডি বাংলোটিও পুড়ে গিয়েছিল ।