মালদা, 31 জানুয়ারি: জেলাবাসীর আশা ছিল, লোকসভা নির্বাচনের মুখে মালদা সফরে এসে জেলার গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধ নিয়ে কিছু বলবেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান ৷ প্রতি বছর ভাঙনে সর্বস্ব হারানো মানুষজনের দাবি মেনে গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধের স্থায়ী ব্যবস্থার কিছু ঘোষণা করবেন ৷ বুধবার মালদা ডিএসএ'র সভামঞ্চ থেকে গঙ্গার ভাঙন প্রসঙ্গ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ভাঙন রোধের কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দের কথাও ঘোষণা করেছেন ৷ কিন্তু তার সবই মুর্শিদাবাদ জেলার জন্য ৷ তাই এ নিয়ে কিছুটা হতাশ মালদার মানুষ ৷
গঙ্গার ভাঙন মালদাবাসীর কাছে একটা অভিশাপ ৷ প্রতি বছর গঙ্গার দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকার বহু ফসলি জমি ৷ বাড়িঘর হারিয়ে সর্বহারা হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ ৷ বারবার তাঁরা দাবি করেছেন, ভাঙন রোধের স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা করা হোক ৷ নইলে একদিন এই জেলাই অস্তিত্বের সংকটে পড়বে ৷ শুধু দুর্গতরাই নয়, একই কথা বলেছিলেন রতুয়ার ভাঙন আক্রান্ত এলাকার বাসিন্দা, সেখানকার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ও ৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তিনিও ৷
মুখ্যমন্ত্রী এদিন ভাঙন প্রসঙ্গেও কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, "গঙ্গা ভাঙন মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলার বড় সমস্যা ৷ আমি বলেছিলাম, গঙ্গার ভাঙন রোধের কাজের জন্য 100 কোটি টাকা দেব ৷ মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের বাঁধ সংরক্ষণের জন্য ইতিমধ্যেই 86 কোটি টাকার টেন্ডার করে দেওয়া হয়েছে ৷ গত পাঁচ বছরে এই কাজে আমরা 168 কোটি টাকা খরচ করেছি ৷ আরও 10 কোটি টাকা দিচ্ছি ৷ কিন্তু সবাই মনে রাখবেন, এটা কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ ৷ তারা এই কাজ করে না ৷ ওরা ফরাক্কায় ড্রেজিংও করে না ৷ ফরাক্কা, ধুলিয়ান, সামশেরগঞ্জে গঙ্গার ভাঙন হচ্ছে ৷ ওরা একবার তাকিয়েও দেখে না ৷ শুধু ভোটের সময় ভোট নিয়ে ওরা পালিয়ে যায় ৷ কিন্তু আমরা যেটা বলি, সেটা করি ৷"