ভাঙড়, 31 মে: লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড় এলাকা ৷ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা মারার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে মূলত আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়ের উত্তর কাশিপুর থানার বানিয়ারা এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে এই বোমাবাজির ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় প্রশাসনের থেকে অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট চাইল কমিশন। অর্থাৎ এই ঘটনার পর কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা কমিশনকে বিশদে জানাবে প্রশাসন।
ভোটের মুখেই ফের রক্তাক্ত ভাঙড় (নিজস্ব ভিডিয়ো) অভিযোগ, দলীয় কর্মসূচি সেরে এলাকার তৃণমূল নেতা রফিক খান কর্মীদের নিয়ে যখন বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময় তাঁদের ওপর বোমা ছোড়া হয় ৷ এরপরই মুড়ি-মুড়কির মতো পরপর বোমা পড়তে থাকায় এলাকায়, যার জেরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। এই ঘটনায় আইএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। ব্য়াপক বোমাবাজির ঘটনায় মোট 10 জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
বোমার আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় অনেকেই রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। পরে আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভরতি করা হয়। আহতদেরকে দেখতে পরে হাসপাতালে আসেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক তথা ভাঙড়ে দলের পর্যবেক্ষক শওকাত মোল্লা। আহতদের দেখে শওকত মোল্লা বলেন, "এই ঘটনায় আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করা উচিত। আইএসএফের তরফ থেকে এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।" হাসপাতালে রাতেই আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ ৷
গোটা ঘটনার খবর পেয়ে আসেন কলকাতা পুলিশের ভাঙড় থানার পুলিশ আধিকারিকরা। সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসেন কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা। ওই এলাকায় রাতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে । কিন্তু, এই ঘটনায় কীভাবে এত সংখ্যক বোমা এল, সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে । ইতিমধ্যেই নির্বাচনের আগে ও পরে যাতে শহর শান্ত থাকে এবং সেখানে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য বদ্ধপরিকর রয়েছে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল প্রত্যেকটি থানার অফিসারের বিমা করানোর নির্দেশ দিয়েছেন ৷ ভোটের আগে এবং ভোট শেষের কিছুদিন পর পর্যন্ত থানায় যেন পর্যাপ্ত বাহিনী রাখা হয়, তার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার।