নন্দীগ্রাম, 17 এপ্রিল: নন্দীগ্রামে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। যদিও, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ।
ভোট যত এগিয়ে আসছে, ক্রমশ রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নন্দীগ্রামে । মঙ্গলবার, রাতের অন্ধকারে নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সাউদখালী 270 নম্বর বুথে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েছে নন্দীগ্রামে । এই ঘটনায় বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ৷
অপরদিকে বিজেপির তোলা এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস । শাসকদলের দাবি, বিজেপির আদি ও নব্যের লড়াই চলছে। ওই গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে ৷ এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই । শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী এদিন এলাকা পরিদর্শনে যান । তারপর এই বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীর দল আমাদের দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে সব পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। এই এলাকার এখনও আমি সাংসদ রয়েছি । আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্ত হব । "
অপরদিকে নন্দীগ্রাম এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি জয়ন্তী মণ্ডল বলেন, "এই ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যে। কারণ, ওই এলাকায় তৃণমূলের একটা ঝান্ডাও দেখতে পাবেন না। আসলে, এখন নন্দীগ্রামে বিজেপির আদি ও নব্যের মধ্যে লড়াই চলছে। এটা বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের ফল । আসলে এখন বিজেপি লজ্জায় বলতে পারছে না । তাই তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে । এতে তৃণমূলের কোনও অসুবিধা হবে না ৷"
আরও পড়ুন:
- চন্দননগরে দুই বিজেপি কর্মীকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল
- কাজ দিতে ব্যর্থ তৃণমূল ! 'বহিরাগত' শ্রমিকদের পথ আটকে দিল শাসকদলেরই একাংশ
- আলুওয়ালিয়ার সভার আগে বিজেপি নেতাদের মারধর! কাঠগড়ায় শাসকদল