চুঁচুড়া, 29 মার্চ: হুগলির বলাগড়ে সাটিথান পঞ্চায়েতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ৷ ধনিয়াখালির বিধায়ক অসীমা পাত্রের মদতে তৃণমূলের একাধিক নেতাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে অভিযোগ করলেন হুগলি লোকসভার সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় ৷ পাশাপাশি, সপ্তগ্রামের তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে একাধিক সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ তুলেছেন লকেট ৷ পালটা লকেটকে ইডি ও সিবিআইয়ের ঠিকাদার বল কটাক্ষ করলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার ৷
উল্লেখ্য, গত বুধবার হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে আবাস যোজনার টাকা একাধিক উপভোক্তা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ আর সেই নিয়ে হুগলির সাংসদ অভিযোগ করেছেন, যাঁদের এই টাকা পাওয়ার কথা ছিল, তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তা যায়নি ৷ তাঁর অভিযোগ, বিডিও ও পঞ্চায়েত অফিস থেকে দেখানো হয়েছে উপভোক্তারা সকলে টাকা পেয়েছেন ৷ কিন্তু, আদতে আবাস যোজনার সেই টাকা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের অ্যাকাউন্টে ৷ এর প্রমাণও তাঁর কাছে আছে বলে দাবি করেন লকেট চট্টোপাধ্যায় ৷ আর এসবের পিছনে ধনিয়াখালির তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি ৷
পাশাপাশি, সপ্তগ্রামের ব্যবসায়ী কমল দাসের বিরুদ্ধে কয়লাপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগও করেছেন লকেট ৷ তাঁর বক্তব্য, এই কমল দাসের কালো টাকা একাধিক কোম্পানির মাধ্যমে সাদা করা হচ্ছে ও তা তৃণমূলে ফান্ডিং হচ্ছে ৷ সাংবাদিক বৈঠকে সেই কোম্পানিগুলির নামও উল্লেখ করলেন লকেট ৷ তাঁর দাবি, ইডি ও সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে সেই কোম্পানিগুলি ৷