গঙ্গাসাগর, 7 অক্টোবর: পুজোর মুখে আচমকা নদী বাঁধে 100 মিটার এলাকায় ধস নেমেছে । যার জেরে আতঙ্ক ছড়াল এলাকাবাসীদের মধ্যে । ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দক্ষিণ 24 পরগনার গঙ্গাসাগরের কশতলায় ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে নিম্নচাপের জেরে দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে ৷ যার ফলে নদী বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ে ৷ তার থেকেই এই নদী বাঁধে ধস বলে মনে করছেন এলাকার মানুষজন । ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ৷ অন্যদিকে প্রশাসনের তরফে মাটি কেটে নদী বাঁধ মেরামত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে । তবে নদীর জল বাড়লে তা কতটা রক্ষা করা যাবে, তার নিশ্চয়তা কিছুই নেই ।
নদী বাঁধে ধসে আতঙ্কিত এলাকাবাসী (ইটিভি ভারত) কশতলা এলাকায় প্রায় এক হাজারেরও বেশি পরিবার বসবাস করে ৷ যাদের সংসার চলে এই চাষবাস থেকে ৷ হঠাৎ করে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তাদের মাথায় হাত পড়েছে ৷ কারণ, পুজোর মুখে নোনা জল ঢুকে ধান চাষের জমি থেকে পানের বরজ নষ্ট হয়ে যাবে ৷ তা ক্ষতির মুখে পড়বে এলাকার মানুষজন ৷
বৃষ্টিতে বেহাল বাঁধের মাটি নরম হয়ে আচমকা ধস নামার পাশাপাশি তাতে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষজন । সাগরের বিডিও কানাইয়াকুমার রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন । বিডিওর নির্দেশে তড়িঘড়ি মাটি কেটে আপদকালীন পরিস্থিতিতে নদী বাঁধ মেরামতের কাজ করেছেন সেচ দফতরের কর্মীরা । এলাকাবাসীর দাবি, নদী বাঁধ ভেঙে নোনা জল ঢুকে চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ প্রশাসনের তরফে আর্থিক সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা ৷
স্থানীয় বাসিন্দা প্রতাপচন্দ্র মহাপাত্র বলেন, "সকালবেলায় হঠাৎ 100 মিটার মতো ধস নামল ৷ নোনা জল ঢুকে চাষের জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ৷ আমাদের সবজি থেকে পানের বরজ সব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ৷ আমরা সরকারের হস্তক্ষেপ চাই ৷ যাতে আমরা ভালোভাবে বাঁচতে পারি ৷ না-হলে আমাদের নদীতে ভাসতে হবে ৷" নিতাই মাইতির কথায়, "নদী বাঁধ মেরামতের কাজ হচ্ছে না ৷ প্রশাসন দেখছে না আমাদের ৷ ধসের ফলে আমরা আতঙ্কে রয়েছি ৷ আমরা আর্থিক সাহায্য চাই ৷"
জেলা পরিষদের সদস্য সন্দীপকুমার পাত্র বলেন, "পুকুরের জন্য নদী বাঁধে ধস নেমেছে ৷ সেখান থেকে নোনা জল ঢুকছে ৷ সেচ দফতর বাঁধ মেরামতের কাজ করছে ৷ বিডিও এবং প্রশাসনের আধিকারিকরা এসেছেন ৷ আমরা স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করছি ৷"