ঝাড়গ্রাম, 27 সেপ্টেম্বর: সবেমাত্র ভোরের আলো ফুটেছে। গ্রামবাসীরা ভরা নদীর দিকে তাকিয়ে রীতিমতো অবাক ৷ শাবক-সহ 30 থেকে 35টি হাতির একটি দল ভরা নদী সাঁতরে পার হচ্ছে ! নদীর এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে অনায়াসে সাঁতার কেটে চলে যায় হাতির দলটি ৷ শুক্রবার সকালে সেই চিত্রই ফুটে উঠল সুবর্ণরেখা নদীতে।
জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলার অন্তর্গত খড়গপুর বন বিভাগের কলাইকুন্ডা রেঞ্জের সাঁকরাইল বিটে 30 থেকে 35টি হাতির একটি দল বেশ কয়েকদিন ধরে ছিল। বর্ষায় ফুলেফেঁপে উঠেছে সুবর্ণরেখা ৷ শুক্রবার ভোরের আলো ফুটতেই শাবক-সহ হাতির দলটি সেই ভরা সুবর্ণরেখা নদীতে নেমে পড়ে। শাবকদেরকে আগলে সাঁতার কেটে চাঁদাবিলা রেঞ্জের তপবনের জঙ্গলে চলে যায় বলে জানা গিয়েছে।
নদী সাঁতরে পার করল হাতির দল (ইটিভি ভারত) নিম্নচাপের বৃষ্টি এবং ঝাড়খণ্ডের গালুড়ি জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে ফুলে ফেঁপে উঠেছে সুবর্ণরেখা নদী। আর তার মধ্যেই বেশ কয়েকটি শাবক নিয়ে হাতির দলের সুবর্ণরেখা নদী পারাপারকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ বলেই দাবি করছেন সকলেই। নয়াগ্রাম ব্লকের বাছুরখোয়ার এলাকার সুভাষ পবেরা নামের এক গ্রামবাসী বলেন, "এদিন ভরে সাঁকরাইলের দিক থেকে বাচ্চা-সহ একদল হাতি ভরা সুবর্ণরেখা নদী সাঁতার দিয়ে নয়াগ্রামের দিকে চলে যায় ৷ হাতির দলটি ভালোভাবেই নদী পেরিয়েছে। এখন তপনের জঙ্গলের কাছে রয়েছে দলটি ৷"
কয়েকদিন আগেই ঝাড়গ্রামে হাতি মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছিল ৷ এরপরই নড়েচড়ে বসে বন দফতর ৷ ঝাড়গ্রামের ঘটনা নিয়ে বন দফতরের তরফে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করা হয়। সেই বৈঠকে হাতি বাঁচাতে একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ এর মধ্যে যেমন 'হুলা পার্টি'র কাজে নিযুক্ত কর্মীদের সঠিক প্রশিক্ষণ থেকে তাঁদের জীবন বীমা পর্যন্ত একাধিক পদক্ষেপ করার কথা ভাবনাচিন্তা করেছে বনদফতর ৷ এমনটাই ইটিভি ভারত-কে জানিয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ৷
মন্ত্রীর কথায়, "এ ধরনের ঘটনা কোনওভাবেই কাঙ্খিত নয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলে এই ঘটনাগুলি ঘটে ৷ আমরা চেষ্টা করছি, কিছু প্রক্রিয়াগত পরিবর্তনের মাধ্যমে এই মৃত্যুর ঘটনা যাতে এড়ানো যায়। আমাদের দফতর এ নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছে ৷ সেই বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷"