কলকাতা, 21 মার্চ: গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় এবার এলাকার সিন্ডিকেটের মাথার নাম পেল কলকাতা পুলিশ । কিন্তু তিনি আদৌ বেঁচে রয়েছেন নাকি অন্যত্র আত্মগোপন করে আছেন, সেই বিষয় নিশ্চিত নন লালবাজারের গোয়েন্দারা । কারণ রবিবার রাতে যখন বহুতলটি ভেঙে পড়ে তার মধ্যেই ছিলেন শেরু । জানা গিয়েছে, তাঁর ভালো নাম আব্দুল রউফ নিজামি ওরফে শেরু ।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গুণ্ডা দমন শাখার এক আধিকারিক বলেন, "শেরু সবার মাথায় বিরাজ করে । কিন্তু এই শেরুর অধীনে ছিল পরভেজ আহমেদ, শামিম শেখ এবং গুড্ডু নামের কয়েকজন ।" তদন্তে নেমে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পারেন যে এই শেরুর অধীনে রয়েছেন কয়েকশো যুবক । এই সিন্ডিকেটে প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমের 'সেনাপতি' ছিলেন শেরু ৷ তবে ঘটনার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ।
শেরুর পরিবারের দাবি, বাড়ি ভেঙে পড়ার সময় তিনি সেখানেই সিন্ডিকেটের ঘরে ছিলেন । হয়তো ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে আছেন । তাঁর দেহ হয়তো এখনো খুঁজে পাইনি উদ্ধারকারী দল । আবার এটিও হতে পারে যে ঘটনার পর কোনক্রমে পরিত্রাণ পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছেন শেরু । গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় এখনো পর্যন্ত দশজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ পাশাপাশি এই ঘটনায় যুক্ত থাকার সন্দেহে একজন প্রোমোটার এবং সেই প্রোমোটারের সহযোগীকেও গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ।
এই ঘটনার তদন্ত নেমে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ জানতে পেরেছে শেরু মূলত এলাকার ত্রাস ছিলেন । কোন প্রোমোটার কোন এলাকায় কাজ করবেন, তা দেখভালের দায়িত্ব ছিল শেরুর উপর । কিন্তু শেরুকে কে এই দায়িত্ব দিয়েছিল এবং শেরুর মাথার উপর কোন কোন প্রভাবশালীর হাত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা ।
আরও পড়ুন:
- টিনের বাক্স বসিয়ে পিলার তৈরি, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, গার্ডেনরিচে বহুতল ভাঙার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে
- কেএমসি অ্যাক্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেনি গার্ডেনরিচ থানা, লালবাজারের নজরে ওসি
- গার্ডেনরিচের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রোমোটারের পর গ্রেফতার সহযোগী পাপ্পু