কলকাতা, 4 জুলাই: লেক গার্ডেন্সের গেস্ট হাউসে প্রেমিকাকে গুলি করে যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় নয়া তথ্য় পেল কলকাতা পুলিশ ৷ জানা গিয়েছে, দীর্ঘ 7 বছরের ভালোবাসার পর সম্প্রতি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন তরুণী। আর তা মানতে পারছিলেন না বজবজের রাজেশ কুমার সাউ । ফলস্বরূপ প্রেমিকাকে খুন করে আত্মঘাতী রাজেশ ৷ তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পেরেছে লালবাজার ৷
বেশ কিছুদিন ধরেই সম্পর্ক নিয়ে টালবাহানা চলছিল। তবে মাঝেমধ্যেই তাঁরা লেক গার্ডেন্সের গেস্ট হাউসে এসে সময় কাটাতেন। যদিও ওই তরুণী কেন দীর্ঘ সাত বছরের এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন সেই ব্যাপারে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তদন্তে নেমে গোয়েন্দাদের অনুমান যে, সম্পর্ক ছেড়ে বেরোনোর জন্য বারবার রাজেশকে চাপ দিচ্ছিলেন তরুণী। লালবাজার হোমিসাইড বিভাগ জানতে পেরেছে, এই ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত। অর্থাৎ রাজেশ মনেপ্রাণে প্রায় ঠিক করে নিয়েছিল, প্রেমিকাকে গুলি করে আত্মঘাতী হবেন। আর তাই জন্যই লেক গার্ডেন্সের সংশ্লিষ্ট গেস্ট হাউসে ওই তরুণীকে নিয়ে আসার পাশাপাশি একটি আগ্নেয়াস্ত্রও নিয়ে এসেছিলেন রাজেশ।
ইতিমধ্যেই মৃত তরুণী এবং রাজেশের পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, তরুণীর বাবা-মা বিহারে থাকেন। বজবজে ভাইয়ের সঙ্গে থাকত তরুণী। যেখান থেকে রাজেশের বাড়ির দূরত্ব মাত্র দু'মিনিট ৷ রাজেশের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ । তবে প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে তাঁর কাছ আগ্নেয়াস্ত্র এল ৷ এই বিষয়ে পরিবার কিছু জানে কি না, সেই বিষয় জানতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ ৷
প্রসঙ্গত, বুধবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ আচমকাই লেক গার্ডেন্সের গেস্ট হাউসে গুলির শব্দ শুনতে পান কর্মীরা । সঙ্গে সঙ্গে তাদের ঘরের দরজা খুলতে দেখা যায় ওই তরুণীর পায়ে গুলি লেগেছে এবং তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। পাশেই পড়ে রয়েছে যুবক রাজেশ কুমার সাউ । ঘটনার পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে পুলিশ আপাতত নিশ্চিত যে, ওই তরুণীকে গুলি করার নিজে ওই বন্দুক থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন যুবক ৷ ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট গেস্ট হাউসের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। তদন্তে নেমে রাজেশের একটি মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ সেই মোবাইলের কল লিস্ট এবং হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ঘেঁটে তদন্তকারীরা জানার চেষ্টা করছেন ঘটনাটি মূল কারণ কী।