কলকাতা, 26 জুন: দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে দিনের পর দিন যানজট বেড়ে চলেছে । ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েলকে সাফ জানিয়েছিলেন, "দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যাতে কোনওভাবে ট্রাফিকের গতি স্লথ না হয় সেটা দেখতে হবে ।"
দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ট্র্যাফিক (ইটিভি ভারত) মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর এবার নড়েচড়ে বসল কলকাতা ট্রাফিক বিভাগ । বুধবার কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ট্র্যাফিক ব্যবস্থা । অ্যান্টি ড্রাগ ডে’র একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে কলকাতা পুলিশের নগরপাল বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে আমরা গোটা বিষয়টি জানতে পেরেছি ৷ তারপর সরেজমিনে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে দাঁড়িয়ে গোটা বিষয়টি দেখেছি ।"
এই বিষয়ে লালবাজারের ভাবনা, যদি সেতুটিকে বেশ কয়েকটি ডিভাইডার দিয়ে ভাগ করা যায়, সেক্ষেত্রে ট্রাফিক ব্যবস্থা আরও সহজ হতে পারে ।
লালবাজার সূত্রের খবর, সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর যানচলাচল সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায়, তার জন্য একটি বৈঠক করবেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল ।
কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ সূত্রের খবর, ব্যস্ত সময়ে অনেক সময় সেতুর উপর বড় গাড়িগুলি খারাপ হয়ে আটকে যায় ৷ তার ফলে যানজট সৃষ্টি হয়। খারাপ হয়ে যাওয়া বড় গাড়িগুলিকে সেখান থেকে সরিয়ে আনতেও সময় চলে যায় । অনেক সময় অনেক বাইকাররা দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন ৷ তার ফলেও সমস্যা হয় ।
যাতায়াতকারীদের অভিযোগ, দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর দেখা মেলে না ট্রাফিক সার্জেন্টের । এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, "মাঝে একবার একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল যে দ্বিতীয় হুগলি সেতু, হাওড়ার দিকে এবং বিদ্যাসাগর ট্রাফিক গার্ডের দিকে মোট তিনটি জায়গায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ট্র্যাফিক সার্জেন্ট করা থাকবেন। কোনওরকমের অসুবিধা হলে তাঁরাই দেখবেন। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেই ব্যবস্থায় বদল এসেছে।"