কলকাতা, 23 অগস্ট: আরজি কর-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া একমাত্র অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন ৷ আর সেই থেকে শিক্ষা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা কলকাতা পুরনিগমের ৷ সেখানকার কর্তব্যরত মহিলা কর্মীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার, বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তারক্ষী এবং হাউস-কিপিংয়ের কর্মীদের জন্য একাধিক নয়া নির্দেশিকা জারি করল কর্তৃপক্ষ।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এখন থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার, বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তারক্ষী ও হাউস-কিপিং কর্মীদের কাজের সময় নির্দিষ্ট পোশাক বা ইউনিফর্ম পরা বাধ্যতামূলক ৷ পাশাপাশি, তাঁদের পরিচয়পত্র সবসময় গলায় ঝুলিয়ে কাজ করতে হবে ৷ এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে কলকাতা পুরনিগমের সচিব স্বপনকুমার কুণ্ডু একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন ৷ যদিও, এই নির্দেশিকা কীভাবে মানা হবে ? সেই প্রশ্ন তুলেছেন সিভিক ভলান্টিয়ার এবং নিরাপত্তারক্ষীদের একাংশ ৷
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ ৷ সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পুলিশের ভূমিকা ৷ প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে আছড়ে পড়ছে মহানগরের রাজপথে ৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যে অভিযুক্ত ধরা পড়েছে, তাঁর পরিচয় তিনি কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন ৷
কলকাতা পুরনিগমের কেন্দ্রীয় ভবন, বরো দফতর ও বিভিন্ন বিভাগীয় অফিসে এমন অসংখ্য সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়েছে ৷ এদের পাশাপাশি, একটা বড় সংখ্যায় নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন বেসরকারি সংস্থার রক্ষীরা ৷ ভবনগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে বেসরকারি সংস্থার হাউস-কিপিং স্টাফ চুক্তিভিত্তিক ভাবে কর্মরত ৷ বাইরের এত লোকের চলা ফেরায়, কলকাতা পুরনিগমের মহিলা আধিকারিক এবং কর্মীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ৷