কলকাতা, 18 অক্টোবর: আজ প্রতীকী অনশন শুরু করলেন কলকাতা পুরনিগমের চিকিৎসকরা ৷ পুর কর্তৃপক্ষ তাঁদের দাবি না-মানার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি ৷ রেড রোডের পুজো কার্নিভালে আরজি কর-প্রতিবাদ তুলে ধরায়, চিকিৎসক তপব্রত রায়কে গ্রেফতার করেছিল ময়দান থানার পুলিশ ৷ সেই ঘটনায় তিনদফা দাবি রাখা হয়েছিল কেএমসি’র চিকিৎসকদের তরফে ৷ 48 ঘণ্টা পরেও সেই দাবি পূরণ না-হওয়ায় এবার একদিনের প্রতীকী অনশনে গেলেন তাঁরা ৷
উল্লেখ্য, তপব্রত রায়কে কার্নিভালের দিন গ্রেফতার করে ময়দান থানার পুলিশ ৷ তাঁর বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য 170 ধারায় অভিযোগ দায়ের হয় ৷ পরবর্তী সময়ে থানা থেকেই ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান ওই চিকিৎসক ৷ সেই ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষের কাছে তিনদফা দাবি পেশ করেছিলেন চিকিৎসকরা ৷ পুরনিগমের কমিশনার ধবল জৈন এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় চৌধুরীকে একটি ইমেল করেছিলেন তাঁরা ৷
বুকে ব্যাজ লাগিয়ে রোগী দেখছেন কলকাতা পুরনিগমের চিকিৎসকরা ৷ (নিজস্ব চিত্র) সেই দাবিগুলি ছিল, গোটা ঘটনার নিন্দা করে কেএমসি-র সোশাল মিডিয়া পেজে তা পোস্ট করতে হবে ৷ কলকাতা পুরনিগম পুলিশকে একটি চিঠি দেবে ৷ যেখানে কলকাতা পুলিশকে চিকিৎসক তপব্রত রায়কে গ্রেফতারের জন্য দুঃখপ্রকাশ করতে হবে ৷ আর ওই চিকিৎসককে আইনি সহায়তা দিতে হবে কেএমসি’র তরফে ৷
কলকাতা পুরনিগমের চিকিৎসকদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, পুর কমিশনার এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ইমেল গ্রহণ করলেও, কোনও জবাব দেননি ৷ এমনকি ইমেলের তিনদফা দাবিকে কার্যকরও করেননি ৷ ওই ইমেলে কেএমসি-র তরফে 48 ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ৷ সেই সময় অতিক্রান্ত হতেই, বৈঠকে বসেন চিকিৎসকরা ৷ সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, 144টি ওয়ার্ডের চিকিৎসক আজ দিনভর প্রতীকী অনশন করবেন বুকে ব্যাজ লাগিয়ে ৷ সঙ্গে ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে রোগী পরিষেবাও দেবেন তাঁরা ৷
প্রতীকী অনশন ও রোগী দেখা, একসঙ্গে করছেন কেএমসি-র চিকিৎসকরা ৷ (নিজস্ব চিত্র) আজকের এই প্রতীকী অনশনের পর, আগামিকাল পুরনিগমের চিকিৎসকরা কর্তৃপক্ষকে একটি লিখিত ডেপুটেশন জমা দেবেন ৷ উল্লেখ্য, কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষ সাহায্য না-করলেও, তপব্রত রায়কে আইনি সহায়তা দিচ্ছেন বাকি চিকিৎসকরা ৷ রেড রোডে কার্নিভালে কর্মতর ছিলেন চিকিৎসক তপব্রত রায় ৷ সেখানে শিরদাঁড়া আঁকা কালো টি-শার্ট পরে গিয়েছিলেন তিনি ৷ আর তাতে লেখা ছিল, 'বিক্রি নেই' ৷ অভিযোগ, কার্নিভালের মঞ্চ থেকে সেই কারণেই তপব্রতকে প্রথম আটক করা হয় ৷ পরে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান তিনি ৷