কলকাতা, 14 সেপ্টেম্বর: চিকিৎসকদের আন্দোলন চলছে 35 দিন ধরে। আরজি করের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে শুরু হওয়া প্রতিবাদ ছড়িয়ে গিয়েছে দেশ শুরু করে রাজ্য তথা বিশ্বের নানা প্রান্তে। তবে এই আন্দোলনের ঠিক আগেই কলকাতা শহর দেখেছিল আরেকটি আন্দোলন। যার নাম শিক্ষক আন্দোলন। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় নেমেছিলেন চাকরির দাবিতে। তাঁদের একটাই কথা ছিল, 'চাকরি চাই'। সেই দাবিতে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছিলেন সকলের চাকরি হবে। তারপর?
জুনিয়র চিকিৎসকদের বার্তা চাকরিপ্রার্থীদের (ইটিভি ভারত) সেই আন্দোলনে অভিযোগ উঠেছিল, অযোগ্যরা যোগ্যদের জায়গায় দিনের পর দিন ক্লাস নিচ্ছেন। এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল 2019 সালে। প্রেসক্লাবের সামনে 29 দিন অনশনে করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিন তাঁদের মঞ্চে গিয়েছিলেন। আশ্বাস দিয়েছিলেন সকলের চাকরি হবে। 'তারপর'? এই তারপরের কথাটাই বর্তমানে চিকিৎসক আন্দোলনকারীদের মনে করাচ্ছেন শিক্ষক আন্দোলনকারীরা ৷
আন্দোলনকারী শিক্ষক মিঠুন বিশ্বাস বলেন, "2019 সালে ধর্নামঞ্চে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ আবারও দেখলাম একইদৃশ্য। কিন্তু সেই সময় উনি আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন চাকরি পাওয়ার। এখনও ফলশ্রুতিতে পূরণ হল না। আমাদের আন্দোলন প্রায় 1300 দিন ধরে চলছে। তাও প্রতিশ্রুতি পূরণ হল না। আমি একজন শিক্ষক আন্দোলনকারী হিসেবে চিকিৎসকদের বলব, ভুয়ো প্রতিশ্রুতিতে মন দিও না। দোষীরা শাস্তি নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলুক।"
জুনিয়র চিকিৎসকরা আলোচনায় বসতে চেয়েছেন। কিন্তু সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে লাইভ স্ট্রিমিং অর্থাৎ আলোচনা বৈঠকের লাইভ সম্প্রচার। প্রশাসন লাইভ স্ট্রিমিংয়ে রাজি নয়। কিন্তু এই লাইভ স্ট্রিমিং কি সত্যিই দরকার? যোগ্য শিক্ষকরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন তাঁদের নিজেদের অভিজ্ঞতা। আন্দোলনকারী শিক্ষক অভিষেক সেন বলেন, "মাননীয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমরা তাঁর ক্যামাক স্ট্রিট অফিসে বৈঠক করেছিলাম। তখন কিন্তু উনি আমাদের নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে আমরা দেখলাম উনি সম্পূর্ণ বিষয়টি ভুলে গেলেন। তাই লাইভ স্ট্রিমিং দরকার।"