পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

জয়নগরের নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত, শুক্রবার সাজা ঘোষণা - JAYNAGAR CHILD MURDER AND RAPE CASE

জয়নগরের নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার 61 দিনের মাথায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল বারুইপুর মহকুমা আদালত ৷ আগামিকাল সাজা ঘোষণা ৷

JAYNAGAR CHILD MURDER AND RAPE CASE
নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত (প্রতীকী ছবি)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 5, 2024, 8:47 PM IST

বারুইপুর, 5 ডিসেম্বর:জয়নগরের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল বারুইপুর মহকুমা আদালত। শুক্রবার অভিযুক্তের শাস্তি ঘোষণা করবেন বিচারক ৷ অভিযুক্তের ফাঁসি চায় নির্যাতিতার পরিবার ৷

চলতি বছরের 4 অক্টোবর চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী জয়নগরের কৃপাখালির বাসিন্দা ওই নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে যায়। বাড়ির লোকের সঙ্গে তল্লাশি চালাতে থাকে স্থানীয় কুলতলি থানার পুলিশ। শেষপর্যন্ত বাড়ির থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার দেহ। রাতেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত মুস্তাকিনকে।

ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের গাড়ি ও পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। এই মামলায় 61 দিনের মাথায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল বারুইপুর মহকুমা আদালত ৷ রায় শুনে এদিন নাবালিকার বাবা দোষীর ফাঁসির সাজা চেয়েছেন‌।

বৃহস্পতিবার মুস্তাকিনকে দোষী ঘোষণা করেন বারুইপুরের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন ফাষ্ট ট্র্যাক কোর্ট-এর বিচারক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় ৷ পকসো আইনে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে 7 অক্টোবর একটি সিট গঠন করে পুলিশ । তদন্ত করে ঘটনার 25 দিনের মাথায় অর্থাৎ 30 অক্টোবর চার্জশিট জমা দেওয়া হয় বারুইপুর আদালতে। শুরু হয় ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে বিচার।

মামলায় সাক্ষ্য দেন মোট 36 জন। শেষপর্যন্ত সব পক্ষের বক্তব্য শুনে ও তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে বৃহস্পতিবার বারুইপুর পকসো আদালত মুস্তাকিনকে দোষী সাব্যস্ত করে। এ বিষয়ে নির্যাতিতার বাবা আদালত চত্বর থেকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে বারুইপুর পুলিশ ও জেলার পুলিশ তদন্ত নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করেছে । আমার মেয়ের সঙ্গে যে নৃশংস কাজ করেছে, সেই অভিযুক্তকে জেনো সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ ফাঁসি দেওয়া হয়। আদালত এবং আইনের ওপর আমাদের বিশ্বাস রয়েছে।"

এ বিষয়ে সরকারি পক্ষের স্পেশাল আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, "অভিযুক্তের ডিএনএ নির্যাতিতার দেহে পাওয়া গিয়েছে ৷ এর থেকে বড় প্রমাণ আর হয় না। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে দোষী ঘোষণা করেছে আদালত। আদালতের এই রায় আমরা খুশি। নির্যাতিতার সুবিচার হয়েছে ৷"

ABOUT THE AUTHOR

...view details