জলপাইগুড়ি, 6 জানুয়ারি: পুরসভাকে না জানিয়ে বাড়ি ভাড়া । ট্রেড লাইসেন্স না নিয়েই বাড়ির সামনে দোকান খোলা। পুরসভাকে না জানিয়ে বসতবাড়িকে কমার্শিয়াল হিসেবে যারা ব্যবহার করা এবং ফ্ল্যাট বিক্রির পরেও যারা মিউটেশন করাননি তাদের বিরুদ্ধে এবার কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে জলপাইগুড়ি পুরসভা ।
না জানিয়ে বাড়ি ভাড়া, কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে জলপাইগুড়ি পুরসভা - JALPAIGURI MUNICIPALITY
পুরসভাকে অবগত না করে বাড়ি ভাড়া, ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া দোকান খোলা প্রভৃতি বিষয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে জলপাইগুড়ি পুরসভা ৷
Published : Jan 6, 2025, 4:20 PM IST
সরকারি নির্দেশে এবার এই সমস্ত বিষয় নিয়ে অ্যসেসমেন্ট শুরু করেছে জলপাইগুড়ি পুরসভা । তাদের বক্তব্য, অ্যাসেসমেন্টের ওপর ভিত্তি করেই পুর কর নির্ধারণ করা হয়ে থাকে । যে সমস্ত বাসিন্দা পুরসভার নিয়ম না মেনে তথ্য লুকিয়ে কর ফাঁকি দিচ্ছেন এবার তাদের কাঁধে চাপতে চলেছে পুরসভা । অ্যাসেসমেন্টের পরেই তাদের বিরুদ্ধে পুর আইন অনুসারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে ।
জলপাইগুড়ি পুরসভায় 25টি ওয়ার্ড নিয়ে মোট 12.97 স্কোয়ার কিলোমিটার এলাকা । শহরে প্রায় 33 হাজারের বেশি হোলডিং নম্বর রয়েছে । জলপাইগুড়ি পুরসভায় প্রায় দেড় লক্ষেরও বেশি জনসংখ্যা । জানা গিয়েছে, সরকারি নিয়ম অনুসারে প্রতি 7 বছর অন্তর অ্যাসেসমেন্ট করে পুর কর নির্ধারণ করা হয়ে থাকে ৷ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যে সব বাড়ির মালিক পুরসভাকে না জানিয়ে ভাড়া বসিয়েছে তাদেরকেও এবার কর গুনতে হবে ।
অনেক জমি বা বাড়ি মিউটেশন করানো হয়নি । দেখা গিয়েছে, বাড়ির সামনে দোকান তৈরি করে ব্যবসা করা হচ্ছে । অথচ তাদের পুরসভার থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া নেই । শুধু তাই নয়, নতুন ফ্ল্যাট বাড়ি তৈরি করে তা বিক্রি করা হয়েছে ৷ সেই তথ্যও পুরসভাকে দেওয়া হয়নি । পুর আধিকারিকদের বক্তব্য, বাড়ির সামান্য কিছু পরিবর্তন করা হলেও সেটা পুরসভাকে জানিয়ে করতে হয় । কিন্তু অধিকাংশক্ষেত্রেই বাসিন্দারা এই সমস্ত তথ্য গোপন করে কাজ করার জন্য পুরসভাকে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ । যে কারণে এবার থেকে শহরবাসীর থেকে ন্যায্য কর আদায়ের পথেই পা বাড়াচ্ছে পুরসভা । যে কারণে অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে সমস্ত তথ্য এবার বের করা হবে ।
এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল বলেন,"প্রত্যেক ওয়ার্ড ধরে ধরে এই অ্যাসেসমেন্টের কাজ শুরু করা হয়েছে । পুরসভার 25টি ওয়ার্ডে 11টি টিম কাজ করছে । কে কীভাবে বসতবাড়িকে কমার্শিয়াল হিসেবে ব্যবহার করছেন, বাড়িতে ভাড়া বসানো হয়েছে কি না, সমস্ত কিছুই পুরসভার 25টি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরেজমিনে দেখে তারপরেই নতুন করে কর নির্ধারণ করা হবে ৷"