মায়াপুর, 22 জুন: মায়াপুর ইসকনের শাখা মন্দির রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরে আয়োজিত হল স্নানযাত্রা ৷ জৈষ্ঠ্যের পূর্ণিমা তিথিতে রথযাত্রার আগে এই স্নানযাত্রার পরেই, অন্তরালে চলে যান জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলভদ্র ৷ বলা হয়, স্নানের পরেই জ্বর আসে জগন্নাথ দেব, সুভদ্রা এবং বলভদ্রের ৷ তাই 14 দিন অন্তরালে থাকার পর, 15 দিনে রথযাত্রার সময় লোকচক্ষুর সামনে আসেন তাঁরা ৷ রথে চড়ে মাসির বাড়ি যান জগন্নাথ দেব ৷ আর মায়াপুর ইসকনের রথযাত্রা আগে এই পূণ্য স্নানযাত্রার সাক্ষী থাকতে দেশ-বিদেশ থেকে ভক্ত সমাগম হয়েছিল রাজাপুরের মন্দিরে ৷
মায়াপুর ইসকনের শাখা মন্দির রাজাপুর মন্দিরে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা ৷ (ইটিভি ভারত) আজ ভোর থেকেই জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরামকে স্নানাভিষেক করিয়ে ভক্তদের দর্শনের জন্য বাইরে আনা হয় ৷ সেখানে ভক্তরা জগন্নাথ দেবের আ নেন ৷ উল্লেখ্য, জৈষ্ঠ্য মাসের পূর্ণিমা তিথির এই স্নানকে 'দেবস্নান পূর্ণিমা' বলা হয়ে থাকে ৷
মায়াপুর ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, "স্নানের পর প্রভু জগন্নাথ দেব গজবেশ ধারণ করবেন ৷ এই সময় জগন্নাথ, সুভদ্রা এবং বলরাম দেবের জ্বর আসে ৷ তাঁরা মন্দিরের গর্ভগৃহে অবস্থান করবেন ৷ সেখানে তাঁদের সেবা চলবে ৷ 15 দিন পর প্রভু আবার ভক্তদের দর্শন দেবেন ৷ ওই দিন রাজাপুর মন্দির থেকে রথে ইসকন প্রাঙ্গনে আসবেন তিনি ৷" রথযাত্রার দিন সকল জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ জগন্নাথ দেবের রথের রশিতে টান দেবেন ৷
এদিন মন্দিরে আসা সকল ভক্তদের জন্য বিশেষ ভোগের আয়োজন করা হয়েছিল ৷ সঙ্গে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল ৷ সকাল থেকে জগন্নাথ দেবের দর্শনের জন্য ভক্তদের লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো ৷ এরপর মাঝে 14 দিন জগন্নাথ দেবের দর্শন করতে পারবেন না ভক্তরা ৷