দার্জিলিং, 11 সেপ্টেম্বর: উত্তরবঙ্গ লবির তথাকথিত ধারক ও বাহক চিকিৎসক সুশান্ত রায়, রাজ্যের শাসকদলের প্রভাবশালী চিকিৎসক নেতা অভিক দে ও বিরুপাক্ষ মিত্রের অবিলম্বে গ্রেফতারির দাবি জানালো বিজেপি।
গ্রেফতারির দাবি শমীক ভট্টাচার্যের (ইটিভি ভারত) বুধবার বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই দাবি করলেন বিজেপি মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। এদিন মূলত সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে শিলিগুড়ি গিয়েছিলেন তিনি। দলীয় কার্যালয়ে দলীয় নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। আর বৈঠকের পরই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অচলাবস্থা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন শমীক।
আরজি কর-কাণ্ডের পরই থ্রেট কালচারে উত্তাল হয়ে ওঠে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। ইতিমধ্যে ডিন, নোডাল অফিসার, হাউজ স্টাফ, ইন্টার্ন ও পড়ুয়া মিলিয়ে 12 জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে কলেজ কাউন্সিল। কাউকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, কারও বিরুদ্ধে রেজিস্ট্রেশন বাতিলের আবেদন জানানো হয়েছে মেডিক্যাল কাউন্সিলে। কিন্তু তারপরেও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে থ্রেট কালচার ও দূর্নীতি রয়েই গিয়েছে বলে অভিযোগ।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "এখন আরজি করের পর রাজ্যে সবথেকে আলোচিত বিষয়। অভিক দে, সুশান্ত রায় ও বিরুপাক্ষ মিত্রের গ্রেফতারির দাবি জানাচ্ছি আমরা। আরজি করের মতো উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেরও একই পরিস্থিতি। সেখানে প্রাতিষ্ঠানিক দূর্নীতি তৈরি হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারকে এখনও কোনও দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি।"
মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আমলে বাংলায় বিচারব্যবস্থা আক্রান্ত বলে বুধবার অভিযোগ করেছেন বিজেপির সুকান্ত মজুমদার ৷ এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন তিনি ৷ সেখানেই এই অভিযোগ করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি ৷ সেখানে তিনি লেখেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গে বিচার বিভাগও আক্রমণের মুখে ! ডায়মন্ড হারবারে একজন বিচারকের বাসভবনে আক্রমণের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷"