পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

চন্দননগর হাসপাতালের সামনে যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ - Man Beaten to Death

Youth Beaten to Death in Chandannagar: মহকুমা হাসপাতালের সামনে যুবককে বেধড়ক মারধর ৷ বাঁচাতে এগিয়ে এল না কেউ ৷ যুবক লুটিয়ে পড়ার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করলেন চিকিৎসক ৷

Chandannagar Sub Divisional Hospital
হাসপাতালের সামনে যুবককে পিটিয়ে খুনে উত্তেজনা চন্দননগরে (নিজস্ব ছবি)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 11, 2024, 10:27 PM IST

চন্দননগর, 11 জুন: হাসপাতালের সামনে যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল কয়েকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে। মৃত যুবকের নাম সুপ্রিয় সাঁতরা (28) বিঘাটির বাসিন্দা। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সুপ্রিয়র গাড়ি গৌতম দাস নামে একজনকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় পড়ে গিয়ে আহত হন তিনি। এরপর গৌতম দাসের সঙ্গে ভদ্রেশ্বর স্টেশন রোডে বচসা বাঁধে সুপ্রিয়র।

যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ (ইটিভি ভারত)

রাগের বশে গৌতমকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে সুপ্রিয়। মাথা ফেটে যাওয়ায় নিজের গাড়ি করে আহত গৌতমকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যান। চোট সামান্য থাকায় আহতকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়। ততক্ষণ হাসপাতালের গেটেই অপেক্ষা করছিলেন সুপ্রিয়। ঘটনার খবর পেয়ে আহত গৌতমের ছেলে ও তার পরিজনরা চন্দননগর হাসপাতালে চলে আসে । বাবার মাথা ফাটানো নিয়ে গৌতমের ছেলের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয় সুপ্রিয়র ।

এরপর কয়েকজন মিলে বেধড়ক মারধর করে সুপ্রিয়কে । গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালের গেটেই লুটিয়ে পড়েন সুপ্রিয়। স্থানীয় কয়েকজন মিলে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুপ্রিয়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন ভদ্রেশ্বর বিঘাটির বাসিন্দা সুপ্রিয়র পরিবার ও তার গ্রামের লোকজন। এরপরই স্থানীয় দোকানদার ও পুলিশের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেয় পরিবারের লোকজন । হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়ায় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চন্দননগর থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় হাসপাতালের গেট।

সুপ্রিয়র বাবা তপন সাঁতরা বলেন, "ছেলে একটা বেসরকারি জায়গায় কাজ করে। গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় পথ দুর্ঘটনায় ধাক্কা হয় ওই ব্যক্তির সঙ্গে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসাও করায়। তা সত্ত্বেও ছেলেকে এভাবে মেরে ফেলা হয়েছে কেন? এমনকী স্থানীয় মানুষও সেভাবে এগিয়ে আসেনি । হাসপাতালের মধ্যে কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থাও নেই । অকালে আমার ছেলের জীবন গেল এর দায় কে নেবে । দোষীদের শাস্তি চাই আমি ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details